মিলে গেল প্যারিস আর কাটোয়া, তাঁতশিল্প দিয়েই সেতু বাঁধলেন নোবেলজয়ী বঙ্গতনয়
হাজার হাজার কিলোমিটারের দূরত্বকে অতিক্রম করে মিলে গেল প্যারিস আর কাটোয়া, এই মেলবন্ধনের কান্ডারি হয়ে রইলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্যারিসে বসেই কেতুগ্রামের তাঁতশিল্পী বাসুদেব সিনহার বোনা কাপড় দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন অভিজিৎ। তখনই ঠিক করে নিয়েছিলেন বাংলার তাঁতিদের জীবন, তাঁদের শিল্পকে গোটা বিশ্বের সামনে তুলে ধরবেন।গত বছর নভেম্বরে হাজারও ব্যস্ততার ফাঁকে বাসুদেব, রঘুনাথদের বাড়িতে ঘুরে গিয়েছিলেন নোবেলজয়ী। এবার এলেন সময় নিয়ে, তাঁতিদের ঘর, তাঁদের জীবনযাত্রা, শিল্পকর্ম ঘুরে ঘুরে দেখলেন। আলু পোস্ত, মাছ সহযোগে পাত পেড়ে খেলেন। তাঁতশিল্পীদের আতিথেয়তায় আপ্লুত নোবেলজয়ী। বিশ্বের বরেণ্য অর্থনীতিবিদকে কাছে পেয়ে খুশি কেতুগ্রামের বেনিনগর, কাটোয়ার আমডাঙার তাঁতিরা। অভিজিতবাবুর সঙ্গে ছিলেন ফ্রান্সের অ্যানিমেশন ইলাস্ট্রেটর চেনি অলিভার, প্রখ্যাত ডিজাইনার সুকেত ধীর ও পরিচালক রানু ঘোষ।
অভিজিৎবাবু বাংলার ঐতিহ্যবাহী সামগ্রীগুলিকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন। হস্তচালিত তাঁতশিল্প সামগ্রী যার মধ্যে অন্যতম। অভিজিৎবাবুর কথায়, বাংলার একাধিক ঐতিহ্যের মধ্যে তাঁতশিল্প অন্যতম। কীভাবে এই শিল্পকে গোটা পৃথিবীর মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই কাজ করছেন তিনি। পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে বাংলার ঐতিহ্যের পরম্পরা সম্পর্কে জানানই তাঁর লক্ষ্য। তশিল্পের আরও উন্নতি ও প্রসার কীভাবে ঘটানো যায়, তার পথ খুঁজতেই তিনি সেখানে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, কেতুগ্রামের বেনিনগর ও কাটোয়া ২ ব্লকের জগদানন্দপুরের আমডাঙ্গা গ্রামের হস্তচালিত তাঁত শিল্প খুবই বিখ্যাত। এখানকার তাঁতশিল্পীদের তৈরি স্কার্ফ ও জামদানি শাড়ির জগৎজোড়া খ্যাতি রয়েছে।