বাংলায় এবার পাখির চোখ ‘জল-পর্যটন’
পাশাপাশি পর্যটন দপ্তরের অন্যান্য কর্তাদের বক্তব্য, এই ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ এলে সরকার শিল্প সংস্থাগুলিকে আর্থিক সাহায্য করবে।
Authored By:

রাজ্যে প্রায় ২০ লক্ষ একর জলময় এলাকা আছে। এর মধ্যে জেলাগুলিতে মোট ৩৮ হাজার একর জলাভূমি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যে জল-ট্যুরিজমের সম্ভাবনা যথেষ্ট। রাজ্যের পর্যটন সচিবের কথায়ও মিলল সেরকমই ইঙ্গিত।
বৃহস্পতিবার বণিকসভা আইসিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পর্যটন দপ্তরের সচিব সৌমিত্র মোহন জানিয়েছেন, বাংলায় এবার পাখির চোখ ‘জল-পর্যটন’। এই লক্ষ্যে শীঘ্রই আসরে নামতে চলেছে দপ্তর। পর্যটন সচিব বলেন, ‘পর্যটনের প্রসারে রাজ্যে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নীতি আনা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল চা-পর্যটন, হোম স্টে, ট্যুরিজম সার্ভিস প্রোভাইডার নীতি, ট্যুর গাইড সংক্রান্ত নীতি প্রভৃতি। এর সঙ্গে আগামী দিনে যুক্ত হতে চলেছে ইকো ট্যুরিজম ও অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম, রুরাল বা গ্রামীণ পর্যটন, পিপিপি মডেল ট্যুরিজম, রিভার, হেলথ অ্যান্ড ওয়েলনেস ট্যুরিজম সংক্রান্ত নীতি।’ পাশাপাশি পর্যটন দপ্তরের অন্যান্য কর্তাদের বক্তব্য, এই ক্ষেত্রগুলিতে বিনিয়োগ এলে সরকার শিল্প সংস্থাগুলিকে আর্থিক সাহায্য করবে।
সৌমিত্র মোহন জানিয়েছেন, এখানে দেশীয় পর্যটক আসার ক্ষেত্রে বাংলা ষষ্ঠ স্থানে আছে। বিদেশি পর্যটক আসার নিরিখে বাংলার স্থান পাঁচ নম্বরে। পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে দেশীয় পর্যটক আসার সংখ্যা বছরে প্রায় ১২.৫ কোটি। বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা প্রায় পাঁচ লক্ষ। সচিবের আক্ষেপ, এখানে যত সংখ্যক পর্যটক আসছেন তার চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ এখান থেকে অন্যান্য রাজ্য বা দেশে বেড়াতে যাচ্ছেন। এই ছবিতে পরিবর্তন আনতে পর্যটন দপ্তর একাধিক পদক্ষেপ করেছে ও করবে।