বিদ্যুতমন্ত্রীর বিল চারগুণ, গ্রাহকদের আশ্বাসবাণী শোনালেন শোভনদেব
যার হাতে CESC-র ইলেকট্রিক বিল তাঁরই চক্ষু চড়কগাছ! ক্যালকুলেটর হাতে বসে পড়ছেন হিসেব করতে। খোদ রাজ্যের বিদ্যুতমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের একই অবস্থা। তাঁর বাড়িতে বিদ্যুত্ বিল আসে গড়ে ৩-৪ হাজার টাকা। এবার সেই বিল এসেছে ১২ হাজার টাকা!
শহর কলকাতার একজন উপভোক্তার বিলের অঙ্ক তো ক্যালকুলেটরের সব ডিজিটে ধরছে না। তাঁর বিল এসেছে ১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা। গ্রাহকদের অভিযোগ লকডাউনের বাজারে প্রতিটি CESC গ্রাহকদের ইলেকট্রিক বিল এসেছে তিন থেকে চারগুণ বেশি। বাড়তি বিল নিয়ে CESC দফতরে সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েও কোন সুরাহা হচ্ছে না। এই অবস্থায় শহরবাসী এবার দ্বারস্থ হয়েছেন রাজ্যের বিদ্যুতমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের।
বিদ্যুতমন্ত্রী বলেন, “রোজ ভূরিভূরি অভিযোগ পাচ্ছি। সে সমস্ত উপভোক্তারা এই সমস্যায় পড়েছেন, তাঁরা আমাকে জানান। আমি সমস্যা সমাধান করে দেব। আমি বিশ্বাস করি না CESC মত একটা পুরোন প্রতিষ্ঠান আমফানে তাদের ক্ষতির মোকাবিলা করতে গিয়ে গ্রাহকদের বিলের বোঝা বাড়াবে।” তাহলে কিসের ভিত্তিতে হঠাত্ করে তিন থেকে চারগুণ বেশি বিল আসছে? খোদ বিদ্যুতমন্ত্রীর বাড়িতে প্রায় চারগুণ বেশি বিল।
এবার রাস্তায় নেমে বেশি বিল আসার ব্যাখা দিলেন সিইএসসির সাউথ ওয়েস্ট রিজিয়নের ডিজিএম জয়দীপ গুহ । তিনি বলেন, ‘’মার্চ থেকে লক ডাউন। যার ফলে মিটারের রিডিং নেওয়া যায়নি। মে মাস পর্যন্ত বিগত ছ’মাসের অ্যাভারেজ মিটার রিডিং দেখে বিল পাঠানো হয়েছে। জুন মাস থেকে মিটার রিডিং নেওয়া হচ্ছে। দেখা গিয়েছে, অ্যাভারেজ মিটারের থেকে বেশী বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়েছে। সেটা বাড়তি ব্যবহৃত বিদ্যুৎ এই মাসে যুক্ত করা হয়েছে। লক ডাউনে সবাই ঘরে। সবার বিদ্যুৎ ব্যবহার বেড়েছে। তার ওপর গরমের সময়। মানুষের সমস্যা হলে ইনস্টলমেন্টে দিতে পারেন। সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’’
ইনস্টলমেন্টে দেওয়ার প্রশ্ন তখনই আসবে যখন বিলটি গ্রহণযোগ্যতা আসবে। CESC যুক্তি কতটা মানবে গ্রাহকরা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তবে খোদ বিদ্যুতমন্ত্রী আসরে নামায় আশার আলো দেখছেন উপভোক্তারা।