পুরাতনরা কি আদৌ পাবে গুরুত্ব? ক্ষোভ বাড়ছে বঙ্গ বিজেপির অন্দরেই

বঙ্গ বিজেপির আদি শিবিরকে গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না, এ বিষয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।

January 28, 2023 | 2 min read

Authored By:

Drishti Bhongi Drishti Bhongi
কলকাতায় বিজেপি-র সদর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের। ফাইল ছবি: পিটিআই

পুরনো-নতুন দ্বন্দ্ব কিছুতেই দূর হচ্ছে না বঙ্গ বিজেপি’র অন্দর থেকে। পুরনো বা ‘আদি’ বিজেপি কর্মীদের যোগ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছে। এ বিষয়ে বিজেপির ক্ষমতাসীন শিবিরকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিজেপির দুর্দিনের পুরনো কর্মীরা অনেকেই প্রাপ্য সম্মান পাননি। কেউ কেউ সক্রিয় রয়েছেন, অনেকে আবার নব্যদের সঙ্গে লড়াই না করে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছেন। অধরাই থেকে গেছে পুরনোদের সম্মান। বঙ্গ বিজেপির আদি শিবিরকে গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না, এ বিষয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে।

পুরনো কর্মীদের যোগ্য সম্মান ও দায়িত্ব আদৌ দেওয়া হচ্ছে কি? রাজ্যে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের প্রশ্নে মুখ পুড়ল ‘গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো’ রাজ্য বিজেপির নেতাদের। বুথ ও মণ্ডলস্তরে বিজেপির সংগঠনের বেহাল দশা। তাই রাজ্য বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্ব মেক ওভার করাটাই চাপের হয়ে গেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে। তার উপর মাথার উপর খাঁড়ার মতন আসন্ন ২০২৩-এর পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন ও ২০২৪-এ লোকসভা ভোট। এর মধ্যে বিক্ষুব্ধদের বুঝিয়ে মাঠে না নামানো গেলে বিজেপির সব স্বপন অধরাই থেকে যাবে, তা ঠারে ঠারে টের পাচ্ছেন সুনীল বনশল, মঙ্গল পাণ্ডেরা।

রাজ্যে গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার গেরুয়া শিবির। বিজেপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যেও ফাটল চওড়া হচ্ছে। শুভেন্দু-সুকান্ত শিবিরের বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রকাশ্যেই মুখ খুলেছেন সাংসদ শান্তনু ঠাকুর, সৌমিত্র খাঁ, দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক অনুপম হাজরা। দলের পরিচালনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল লকেট চট্টোপাধ‌্যায়কেও। সুকান্ত-দিলীপ-শুভেন্দুর দ্বন্দ্বের চোরা স্রোত ক্রমশ বেড়েই চলেছে।

২১শের নির্বাচনে ভরাডুবির পর ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়েছে বঙ্গ বিজেপির সংগঠন। তারপর একাধিক পুরভোট ও উপনির্বাচনে পর্যুদস্ত হয়েছে গেরুয়া শিবির। ভোটের হারও প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। তাই অবিলম্বে জেলা সভাপতি ও রাজ্য নেতৃত্বদের বলা হয়েছে পুরনোদের তালিকা তৈরি করতে। সেই সঙ্গে তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিতে। কমিটি বা পদে এনে বিক্ষুব্ধদেরও দলের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কথায় বলে মরার সময় হরিনাম। নির্বাচনের আসলেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মনে পড়ে দলের পুরাতন কর্মীদের কথা। তাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে দুর্গাপুরে বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকরা রাজ্য ও জেলা পদাধিকারীদের বলেছেন, যারা বর্তমানে পদে আছেন আগামী দিনে নাও থাকতে পারেন। আর তাতে আরও উস্কে দেওয়া হয়েছে আদি বনাম নব্যের লড়াই, বলে মনে করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen