লকডাউনেও ‘সুফল বাংলা’র রেকর্ড! তিন মাসে বাড়ল ১৩২টি স্টল
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির আগে রোজ গড়ে ৬-৭ লক্ষ টাকার সবজি ‘সুফল বাংলা’র স্টল থেকে বিক্রি হত। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০-২১ লক্ষ টাকা।
করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে জারি হয় লকডাউন (Lockdown)। তার ফলে বেশিরভাগ মানুষেরই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই তলানিতে ঠেকে আয়। কিন্তু খাওয়াদাওয়া তো আর না করলে চলবে না। কিন্তু টাটকা শাকসবজি কিংবা ফলের আকাশছোঁয়া দাম দেখে নাভিঃশ্বাস আমজনতার। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে আশার আলো দেখাল রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু হওয়া ‘সুফল বাংলা’ প্রকল্প। তিন মাসে রেকর্ড ব্যবসা করেছে রাজ্যের এই প্রকল্প।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতির আগে রোজ গড়ে ৬-৭ লক্ষ টাকার সবজি ‘সুফল বাংলা’র স্টল থেকে বিক্রি হত। কিন্তু বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০-২১ লক্ষ টাকা। লকডাউনের মধ্যে এই প্রকল্প ২৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এই ধরণের স্টলের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা বলেছিলেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী রাজ্যে স্টলের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। আগে গোটা রাজ্যে মোট ১৩৪টি ‘সুফল বাংলা’ স্টল ছিল। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৬টি। তার মধ্যে কলকাতা, হাওড়া, সল্টলেক এবং নিউটাউনে রয়েছে ২৩০টি স্টল। বাকি ২২টি স্থায়ী।

নবান্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে, করোনা-আতঙ্ক দূরে সরিয়ে গত তিন মাসে রেকর্ড ব্যবসা করেছে সুফল। লকডাউন ঘোষণার আগে রাজ্যের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা স্টল থেকে রোজ গড়ে ৬-৭ লক্ষ টাকার সব্জি বিক্রি হত। সেটাই এখন হয়েছে ২০-২১ লক্ষ টাকা। লকডাউনের মধ্যে মোট প্রায় ২৫ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। বিভাগীয় মন্ত্রী তপন দাশগুপ্ত বলেন, “লকডাউনে ‘সুফল বাংলা’ সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। তার ফলে আমাদের আয় এত বেড়েছে। অনেক জায়গায় শাকসবজির পাশাপাশি স্টলে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এবার সস্তায় ইলিশ মাছও বিক্রির কথা ভাবা হচ্ছে।”
মূলত গ্রামবাংলার কৃষকদের থেকে সরাসরি সবজি, মাছ কিনে এই স্টলগুলিতে বিক্রি করা হয়। তার ফলে বাজারের তুলনায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ কম দামে সবজি বিক্রি করা হয়। এছাড়াও প্রতিটি স্টলেই দামের তালিকা এবং স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের জিনিসপত্র ওজন করা হয়। তাই সাধারণ মানুষের ঢকে যাওয়ার কোনও ভয় নেই। তাই আমজনতার কথা ভেবে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, সুফল বাংলার স্টলের সংখ্যাও বাড়ানোর। সেই অনুযায়ী বাড়ানো হয়েছে স্টলের সংখ্যা। মার্চে ১৩৪টি জায়গায় স্টল ছিল। তার মধ্যে কিছু স্থায়ী, বাকিটা ভ্রাম্যমাণ। জুলাইয়ে স্টল বেড়ে হয়েছে ২৬৬টি। কলকাতা, হাওড়া, সল্টলেক এবং নিউ টাউনেই রয়েছে ২৩০টি স্টল। ২২টি স্থায়ী।