ট্রেনের হকারদের জীবিকা সুরক্ষায় পথে নামছে বঙ্গীয় হকার সম্মেলন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দীর্ঘদিন ধরেই রেলে হকারদের উঠতে দেওয়া হচ্ছে না, হকারদের রুজি-রুটির জন্যে প্রথম থেকেই লড়াই করছে জাতীয় বাংলা সম্মেলনের হকার সংগঠন বঙ্গীয় হকার সম্মেলন। হকারদের আয়ের পথ বন্ধ করে তার বদলে নয়ডার একটি কোম্পানিকে ট্রেনে খাবার বিক্রি করার অনুমতি দেওয়ার অভিযোগ উঠছে রেলের বিরুদ্ধে। হাওড়া ও শিয়ালদহ শাখার ৪৭টি ট্রেনে হকার উঠতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেল। বাংলার হকারদের বদলে এই ট্রেনগুলোতে ভিন রাজ্যের এক কোম্পানি খাবার বেচবে। ট্রেনে হকারি বন্ধ করার নেপথ্য কারণ এটিই। দাবি করা হচ্ছে, এভাবেই ধাপে ধাপে রেলকে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানিদের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে রেল। উল্লেখ্য, রেল স্টেশনের উন্নয়নের নামে রেল স্টেশনের বেসরকারিকরণ বহুদিন আগেই শুরু করেছে রেল।
জাতীয় বাংলা সম্মেলন প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে, রেলের দোকান থেকে শুরু করে প্রত্যেকটি টেন্ডার কেন কেবলমাত্র ভিন রাজ্যের সংস্থাই পায়? কোন অলিখিত কারণে ব্রাত্য থেকে যায় বাংলা? কেন আইআরসিটিসির দোকানগুলিতে বাঙালি ছেলে-মেয়ে দেখতে পাওয়া যায় না? এক কথায়, বাংলায় বাঙালিকে বঞ্চিত করার অভিযোগ উঠছে।
ওই ৪৭টি ট্রেনে বহু মানুষ হকারি করেন। জাতীয় বাংলা সম্মেলনে হকার সংগঠনের বক্তব্য, বাংলার খেটে খাওয়া মানুষদের উপার্জনের মাধ্যম কেড়ে নিয়ে, তা বহিরাগতদের হাতে তুলে দিতে চাইছে রেল। ৪৭টি ট্রেন থেকে শুরু করে একে একে ধাপে ধাপে সব ট্রেনেই এই নিয়ম চালু হতে, এমনটাই শঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিবাদে সরর বঙ্গীয় হকার সম্মেলন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি তারা পথে নামতে চলেছেন। তাদের সাফ কথা, ‘পূর্ব রেল যতই বহিরাগতকে বাংলা বেচেঁ দেওয়ার ধান্দা করুক, জাতীয় বাংলা সম্মেলন যতদিন আছে, প্রত্যেক ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে এর হিসেবে হবে। যতদিন বঙ্গীয় হকার সম্মেলন বাংলার মাটিতে আছে, একটিও হকারকে বঞ্চিত করা যাবে না।’ উল্লেখ্য, ১৫ ফেব্রুয়ারি মহামিছিল ও পূর্ব রেলের সদর দপ্তর ঘেরাও করার কর্মসূচি নিয়েছে বঙ্গীয় হকার সম্মেলন।