মোদী সরকারের লাখপতি দিদির সমীক্ষায় ডবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলোকে মাত বাংলার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিগত এক দশকে দেশে নারী ক্ষমতায়ণের মডেলে পরিণত হয়েছে বাংলা। মহিলাদের স্বনির্ভরতার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়েছে রাজ্যে। বাংলায় বিপুল সংখ্যক স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরির নিরিখে দেশে শীর্ষ স্থান দখল করেছে বাংলা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে অসংখ্য মহিলা জীবিকার সুযোগ পেয়েছেন। তারা নিজেরাই সংসারের হাল ধরেছেন। তাদের ঋণ প্রদানসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। সে’সব মহিলারা এখন বছরে এক লক্ষ বা তারও বেশি টাকা আয় করেন। এরাই কিস্তিমাত করছেন দেশের একাধিক ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যকে। মোদীর সরকারের সমীক্ষায় উঠে এসেছে বাংলায় সাফল্যের ছবি। ইতিমধ্যেই বাংলায় এমন মহিলার সংখ্যা পাঁচ লক্ষ ছাড়িয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, কর্ণাটকের মতো ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছে বাংলা।
ন্যাশনাল রুরাল লাইভলিহুড মিশন প্রকল্পের সাহায্য পাওয়ার পর স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের জীবিকায় কী বদল এসেছে, তা খুঁজতেই সমীক্ষা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ চলবে। সহজ শর্তে ঋণ পেয়ে ব্যবসাসহ নানান ধরণের কাজের মাধ্যমে বছরে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছেন অজস্র মহিলা। বাংলার মধ্যে হুগলিতে প্রথম এই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। হুগলিতেই লাখপতি দিদির সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়েছে। অন্যান্য জেলাতেও সমীক্ষা শুরু হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা জেলাও অনেকটা এগিয়ে।
সমীক্ষায় উঠে এসেছে, গ্রামের মহিলারা ছোট ব্যবসা শুরু করে এখন তা পরিসরে বড় করে ফেলেছেন। লাখপতি দিদির সংখ্যার নিরিখে দেশের মধ্যে তিন নম্বর স্থান দখল করেছে বাংলা। বড় রাজ্যগুলির মধ্যে ফেল করেছে ডবল ইঞ্জিন উত্তরপ্রদেশ। খোদ মোদীর রাজ্য গুজরাতে এখনও পর্যন্ত মাত্র আড়াই হাজার লাখপতি দিদির খোঁজ মিলেছে। প্রসঙ্গত, সারা দেশে ৮১ লক্ষর বেশি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে বলে বাজেটে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। বাংলাতেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা ১১ লক্ষ। লাখপতি দিদির সমীক্ষায় বাংলার সাফল্য ফের একবার শাহ-মোদীর ডবল ইঞ্জিন তত্ত্বকে প্রশ্নের সামনে এনে দাঁড় করলো।