ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার তালিকায় দার্জিলিংসহ উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন এমনকি কলকাতাও?
দার্জিলিংসহ উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন এমনকি কলকাতাও ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রকৃতি যখন তাণ্ডবলীলা চালায় মানুষ তখন দর্শক। সপ্তাহের শুরুতেই কেঁপে উঠেছিল তুরস্ক ও সিরিয়া। ভয়াবহ ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এখনও সংখ্যাটা বেড়েই চলেছে। কোথায় গিয়ে তা দাঁড়াতে, কেউ তা বলতে পারছেন না। ভূ-কম্পনের ভয়াবহতা দেখে উদ্বিগ্ন ভারতীয় ভূবিজ্ঞানীরাও। ডিসেম্বরে দেশের ভূবিজ্ঞান মন্ত্রক জানিয়েছিল, ভারতের ৬০ শতাংশ এলাকাই ভূমিকম্পপ্রবণ। ২ হাজার ৪০০ কিলোমিটার বিস্তৃত হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের অবস্থা সবচেয়ে বিপদজনক। এই পার্বত্য এলাকা, একাধিকার তীব্র মাত্রার কম্পনের সাক্ষী থেকেছে। বিজ্ঞানীরা বলেন, হিমালয় পর্বতের গঠনকাজ এখনও চলছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, ওই অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকছেই। দার্জিলিংসহ উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন এমনকি কলকাতাও ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, হিমাচল প্রদেশের কিছু অংশ, উত্তরখণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে বাংলা, বিহার, ওড়িশারও ওই তালিকায় জায়গা পেয়েছে। কোন এলাকা কতটা ভূমিকম্পপ্রবণ, সেই অনুযায়ী গোটা দেশকে পাঁচটি সিসমিক জোনে ভাগ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তার মধ্যে পাঁচ নম্বর জোনের এলাকাগুলোকে অত্যধিক ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। দ্বিতীয় জোনে জায়গা পাওয়া এলাকাগুলিতে ভূমিকম্পের আশঙ্কা তুলনায় কম।
রাজধানী দিল্লি নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। দিল্লি এবং পার্শ্ববর্তী গুরুগ্রাম অত্যন্ত ভূমিকম্পপ্রবণ। কলকাতাও বিপন্মুক্ত নয়। উল্লেখ্য, কলকাতায় ২০১৫ সালে পুরভোটের দিন মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। কম্পনের কেন্দ্র ছিল নেপাল। তবে বাংলার অন্যতম দুই প্রান্ত; উত্তরবঙ্গ এবং সুন্দরবন বিপদসীমার মধ্যেই রয়েছে।