ঋতু পরিবর্তন কালে জ্বর-সর্দি-কাশি, মিলল ১২ ধরনের ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়ার সন্ধান

১২টি ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে মানুষকে সবচেয়ে বেশি কাহিল করছে অ্যাডিনো ভাইরাস।

February 11, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সর্দি, কাশি, জ্বর, হাঁচি, গলা ব্যথায় নাজেহাল ৮-৮০। হাসপাতালের আউটডোর, ওয়ার্ড, সিসিইউ, সর্বত্র ঠাঁই নাই অবস্থা। প্রতিবছরই ঋতু পরিবর্তনের সময় একই সমস্যা। কিন্তু এর কারণটা কী!

নিরন্তন গবেষণা চালিয়ে এই প্রথম সন্ধান পাওয়া গেল এক ডজন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়াকে। তার মধ্যে সন্ধান মিলল করোনার চার ‘পূর্বসূরি’রও। মহামারী হওয়ার আগেও তাদের অস্তিত্ব ছিল। নোবেল করোনা ভাইরাসের আগ্রাসনে তাদের পাত্তা মিলছিল না। করোনা যেতে না যেতেই এবার প্রকাশ্যে এল ‘দাদারা’। সেই আদি ভাইরাসগুলি হল যথাক্রমে করোনা ভাইরাস ২২৯ই, এনএল৬৩, ওসি৪৩ এবং এইচকেইউ১। এইমস-এর প্রাক্তনী, রাজ্যের অন্যতম বড় রোগ ও রক্তপরীক্ষার বেসরকারি ল্যাবের কর্তা ডঃ অভিরূপ সরকার বলেন, ঠিক কী কারণে এই তুমুল সর্দি -কাশি হচ্ছে, তা খুঁজে বের করতে গিয়ে, আমরা আদি করোনা ভাইরাসও পেয়েছি। কলকাতা ছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনা থেকে মিলেছে এইসব জীবাণু। বিশেষজ্ঞরা সাফ জানিয়েছেন, পরিবেশে মিশে থাকা মহামারীর আগেকার করোনা ভাইরাসগুলি তখন যেমন নিরীহ ভালোমানুষ গোছের ছিল, এখনও চরিত্রে বেশি বদল হয়নি। ১২টি ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে মানুষকে সবচেয়ে বেশি কাহিল করছে অ্যাডিনো ভাইরাস।

জ্বর-কাশির দাপাদাপি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে সম্প্রতি রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা নাইসেডকে রহস্যোদ্ধারের দায়িত্ব দিয়েছিল। নমুনা থেকে জানা গেছে, প্রতি ৩ জনের মধ্যে একজন কাবু অ্যাডিনো ভাইরাসে। প্যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের (পিআইভি) খপ্পরে পড়েছেন ১৩ শতাংশ। ১২ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীরা আক্রান্ত হয়েছেন রাইনো ভাইরাসে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen