জব কার্ড-আধার সংযোগে ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যসহ জাতীয় গড়কে টপকালো বাংলা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শেষ হতে চলল চলতি অর্থ বছর। তবুও ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বাংলার বকেয়া টাকা মেটায়নি মোদী সরকার। রাজ্যের প্রতি এহেন আর্থিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই সরব রাজ্যের শাসক দল। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের জবাবি ভাষণ চলাকালীন বাংলার বিরুদ্ধে মোদী সরকারের অলিখিত অর্থনৈতিক অবরোধের প্রতিবাদে সংসদে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। মোদী সরকার তথা গেরুয়া শিবিরের দাবি, জব কার্ডের সঙ্গে আধার সংযোগ না থাকায় ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখার হয়েছে। রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাংলায় জব কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড সংযোগের হার অত্যন্ত কম। সেই কারণেই নাকি, সংযোগ না থাকার দরুণ উপভোক্তাদের টাকা পৌঁছচ্ছে না। যদিও এ অভিযোগ যে ভিত্তিহীন তা বলে দিচ্ছে মোদী সরকারের সাম্প্রতিক রিপোর্ট। জব কার্ড-আধার সংযোগের নিরিখে বাংলা ডাবল ইঞ্জিন রাজ্যগুলিকে এমনকি জাতীয় গড়কেও পিছনে ফেলে দিয়েছে। গোটা দেশের গড় ৬৯.৪ শতাংশ, অন্যদিকে বাংলায় সেই পরিসংখ্যান ৮৬.১ শতাংশ।
এই পরিসংখ্যান কেবল ১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে নয়, প্রবীণদের পেনশন দেওয়ার জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্প এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠীদের নিয়ে আনন্দধারা প্রকল্পেও আধার সংযোগে জাতীয় গড়কে ছাপিয়ে গিয়েছে বাংলা। প্রবীণদের পেনশন দেওয়ার জাতীয় সামাজিক সহায়তা প্রকল্পের ক্ষেত্রে আধার সংযোগের জাতীয় গড় ৪৪.১ শতাংশ। বাংলায় সেই পরিমাণটা রীতিমতো দ্বিগুণ, এ রাজ্যে ওই প্রকল্পের আধার সংযোগ ৮২ শতাংশ। খোদ কেন্দ্রের তথ্য বলছে, রাজ্যে প্রকল্পের টাকা সঠিক উপভোক্তাই পাচ্ছেন। এখানেই অভিযোগ উঠছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই বাংলার টাকা আটকে রাখা হয়েছে।
আধার সংযোগের জন্যে উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য। চলতি মাসের প্রথম ১০ দিন ‘মিশন মোড’-এ কাজ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল প্রতিটি জেলাকে। ১০০ দিনের কাজ, আবাস প্রকল্প, এনএসএপি এবং রুরাল লাইভলিহুড মিশন প্রকল্পের ক্ষেত্রে আধার কার্ড সংযোগ দ্রুত শেষ করতেই এমনটা নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যে আবাস যোজনায় দশ দিনে আধার সংযোগের হার ১২.২ শতাংশ বেড়ে ৮৫.৭ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। ১০০ দিনের কাজে আধার সংযোগ বেড়েছে ৭.৫ শতাংশ। বস্তুত জব কার্ড-আধার সংযোগ নিয়ে মোদী সরকারের সাম্প্রতিক রিপোর্টই বাংলার অবস্থান জোরালো করল।