আজ কুম্ভের শাহীস্নান, ত্রিবেণী ঘাট যেন মিনি ভারতবর্ষ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সাধুসন্তদের ভিড়ে জমে উঠেছে ত্রিবেণী ঘাট। কুম্ভকে কেন্দ্র করে বাঁশবেড়িয়ার ত্রিবেণীর কুম্ভমেলা প্রাঙ্গণে হয়ে উঠেছে মিনি ইন্ডিয়া। আগেই কুম্ভসূচনার ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, সাধুসন্তদের উপস্থিতিতে রুদ্রাভিষেকও হয়ে গিয়েছে। একেবারে প্রথমদিনই সাধু, নাগাসাধুরা ভিড় জমিয়েছেন। মেলা জমে উঠেছে পুরোদমে। পুণ্যার্থীদের পাশাপাশি উৎসাহী মানুষজনও সমবেত হচ্ছেন মেলা প্রাঙ্গণে। আজ, সোমবার শাহীস্নান ও কুম্ভস্নানের নির্ঘণ্ট ঠিক হয়েছে। গতকাল রাতের মধ্যেই অসংখ্য সাধু ও পুণ্যার্থী এসে পৌঁছেছেন মেলা প্রাঙ্গণে। গতকাল থেকেই পুণ্যার্থীদের স্নানের ঢল নেমেছে।
উল্লেখ্য, মহাতীর্থ ত্রিবেণীতে সাতশো বছর আগে কুম্ভের আয়োজন হত। সেই ঐতিহ্যকেই ফিরিয়ে আনতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মগরায় মহামণ্ডেশ্বর আখড়ার মোহান্ত মহারাজ কুম্ভের আয়োজনের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। কমিটিও তৈরি হয়েছে। ভিড়ের চাপে আয়োজকরাও বলছেন, প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি পুণ্যার্থী এসেছেন। আজ পুণ্যস্নান উপলক্ষ্যে আরও ভিড় জমবে। ত্রিবেণী ঘাটে সাজো সাজো রব। আখড়া তৈরি হয়েছে, নব কলেবরে সেজে উঠেছে গঙ্গার ঘাট। কুম্ভের ভিড়ে ত্রিবেণীকে আর চেনা যাচ্ছে না। গঙ্গার ঘাটের পাশে তৈরি হয়েছে অসংখ্য যজ্ঞবেদি, ছোট ছোট আখড়া। কুম্ভে আসা সাধুদের নিয়ে কৌতূহলের অন্ত থাকে না, ত্রিবেণী কুম্ভেও একই দৃশ্য চোখে পড়ল।
ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে কোনও ত্রুটি রুখছেন না, কুম্ভ আয়োজক সাধুরা থেকে শুরু করে পুরসভা। সাজানো গোছানোর থেকে আরম্ভ করে, সাধুদের প্রয়োজনের দিকেও নজর রাখা হয়েছে। নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তৎপর পুলিশ। গঙ্গায় স্পিডবোট নেমেছে। মেলার প্রবেশ পথের কিছুটা আগেই যাতায়ত নিয়ন্ত্রণ করছে পুলিশ। কুম্ভস্নানের মাঠেই অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। আজ কুম্ভের শাহীস্নান, ত্রিবেণীতে উন্মাদনার পারদ ক্রমশ চড়ছে।