৩৩ বছর পর রঞ্জি জয়ের স্বাদ পেতে উদগ্রীব বাংলা, উত্তেজনায় ফুটছে গোটা দল
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৯৮৯-৯০ মরসুমে রঞ্জি জিতেছিল বাংলা। সেটাই শেষ বার। দিল্লির বিরুদ্ধে ইডেনে রঞ্জি ফাইনাল ছিল। ৩৩ বছর আগে অরুণ লালের ওই মহাকাব্যচিত ৫২ লোকগাথায় জায়গা পেয়েছে। ফাইনালে প্রবল প্রতিপক্ষ দিল্লির বিরুদ্ধে অরুণের ব্যাট প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। এ বার প্রতিপক্ষ সৌরাষ্ট্র। যে দলের বিরুদ্ধে ২০১৯-২০ মরসুমে রঞ্জি ফাইনালে হেরে গিয়েছিল বাংলা।
৩৩ বছর পরে ইডেনে বাংলার সামনে ট্রফি জয়ের হাতছানি। রঞ্জি ট্রফির ফাইনাল ঘিরে সাজো সাজো রব সিএবি জুড়ে। মাঠের লড়াইয়ের জন্য যতটা তৈরি বঙ্গ ব্রিগেড। মাঠের বাইরে ফাইনাল নিয়ে ততটাই উচ্ছ্বসিত সিএবি কর্তারা। ম্যাচ আয়োজনের জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন কর্তারা। দর্শকদের বিনামূল্যে খেলা দেখার জন্য ইডেনের চারটি গেট খুলে দেওয়া হচ্ছে। শেষ রঞ্জি ট্রফি জয়ী বাংলার ক্রিকেট দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে সেই ফাইনালে কভার করা প্রত্যেক সাংবাদিককে।
এসব ছাড়াও আরও একটি বিশেষ ব্যবস্থা করছে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল। তবে এ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ক্রিকেটারদের জন্য। বাংলা রঞ্জি ট্রফি জিতলে বিরাট আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে সিএবির তরফ থেকে। সূত্রের খবর, চ্যাম্পিয়ন হলে বাংলা দলকে পাঁচ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হবে সিএবির পক্ষ থেকে। প্রত্যেককে দেওয়া হবে ব্লেজার।
তিন বছর আগে ফাইনালে সৌরাষ্ট্রের কাছে হেরেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল বাংলার। সেই ম্যাচটি সৌরাষ্ট্রে হয়েছিল। এবার ফাইনাল ইডেনে। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি বলেন, ‘‘আমরা আলাদা করে ফাইনালে ওঠা নিয়ে ভাবছিই না। একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ। আমাদের পেরিয়ে যেতে হবে। দলের একটা ফোকাস ম্যাচ জিততেই হবে। এর বাইরে আমাদের কোনও ভাবনা নেই। কারও কোনও কথা শুনছি না, অন্য কিছু ভাবছি না। বৃহস্পতিবার আমরা একটা লড়াইয়ে নামব, আর নিজেদের সব আবেগকে দূরে সরিয়ে রেখে তাতে সফল হতেই হবে।’’
বাংলা দল সোমবার বিশ্রাম নিয়েছিল। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয় অনুশীলন। বুধবার সকালেও অনুশীলন করেন লক্ষ্মীরা। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু ম্যাচ। তার আগে নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী লক্ষ্মী। ইডেনের পিচ সম্পর্কে বাংলার কোচ বললেন, “পিচটা বেশ ভাল। ব্যাটারদের জন্য যেমন সুবিধা থাকবে, বোলাররাও পাবে।’’