শিক্ষকদের হাত থেকে বাঁচতেই বলাইচাঁদ হয়ে ওঠেন বনফুল

১৯১৫ সালে বিহারের সাহেবগঞ্জ স্কুলে পড়ার সময়েই ‘মালঞ্চ’ পত্রিকায় বনফুল নামের আড়ালেই তাঁর লেখা একটি কবিতা প্রকাশিত হয়।

July 19, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

এক প্রতিভাবান সাহিত্যিক হওয়ার পাশাপাশি বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় ছিলেন একজন ডাক্তার।  ১৯১৮ সালে এন্ট্রান্স পরীক্ষায় ভালো র‍্যাঙ্ক করেন। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করেন, পাশপাশি পাটনা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবি ডিগ্রি অর্জন করেন। প্যাথলজিস্ট হিসাবে তিনি টানা চল্লিশ বছর কাজ করেছেন। 

১৯৬৮ সাল থেকে কলকাতায় থাকতে শুরু করেন এবং ডাক্তারির পাশাপাশি সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যেতে থাকেন। লেখালেখির শখ তাঁর ছোটোবেলা থেকেই। খুব কম বয়স থেকেই লিখতে চাইতেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। তাই যাতে তাঁর নাম শিক্ষকদের চোখে না পড়ে এবং তাঁরা যেন এটা না ভাবেন যে- পড়াশোনায় ফাঁকি দিয়ে এইসব হচ্ছে! সে কারণেই ঠিক করেন একটি ছদ্মনাম ব্যবহার করবেন। কোথাও লেখা প্রকাশিত হলে যেন সে নামেই বেরোয়। 

শিক্ষকদের থেকে নিজের আসল নাম লুকোতেই  বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় নিজেকে সাহিত্য জগতে বনফুল হিসেবে তুলে ধরেন। ১৯১৫ সালে বিহারের সাহেবগঞ্জ স্কুলে পড়ার সময়েই ‘মালঞ্চ’ পত্রিকায় বনফুল নামের আড়ালেই তাঁর লেখা একটি কবিতা প্রকাশিত হয়। বনফুল পাঠকের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন ব্যঙ্গাত্মক কবিতার জন্য। সজনীকান্ত দাস সম্পাদিত তখনকার বিখ্যাত পত্রিকা ‘শনিবারের চিঠি’র নিয়মিত কবি ছিলেন বনফুল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen