বিয়ের বিষয়ে মানসিকতা বদলাচ্ছে বাংলার মেয়েদের
অনেকটাই বদলেছে বাংলার কিশোরীদের মানসিকতা। অনেক দৃঢ় হয়েছে তাদের চিন্তা। নিজের পায়ে স্বাবলম্বী না হয়ে বিয়ের কথা মাথাতেই আনছে না তাঁরা। পূর্ণবয়স্ক হওয়ার আগেও তাদের বিয়ের কোনও ইচ্ছাই নেই। প্রায় ৯০ শতাংশের বেশী চাইছে ইংরেজি ও কম্পিউটারে পারদর্শী হতে। তবে তার মধ্যে কলকাতা সবথেকে এগিয়ে। মুম্বাই বা দিল্লীও কলকাতার ধারেকাছে নেই।
যেখানে সারা দেশে নাবালিকা ও কিশোরীদের বিয়ে দিয়ে পরিবারের লোকজন দায় ঝাড়তে চাইছে, সেখানে বাংলার ছবিটা সম্পূর্ণ আলাদা। কলকাতার মেয়েদের মধ্যে আছে যথেষ্ট স্বাস্থ্যসচেতনতা। কোলকাতার ৯৫ শতাংশ কিশোরী অবিবাহিত এবং সারা বাংলার ৮৯ শতাংশ। সবুজসাথী, কন্যাশ্রী ও মাধ্যমিকের আগে ও পরে স্কলারশিপের ফলেই এই আমূল পরিবর্তন বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে।
এক্ষেত্রে মাত্র আর তিনটি রাজ্য পাশে রয়েছে বাংলার। সে রাজ্যগুলি হল, কেরল, তেলেঙ্গানা এবং অন্ধ্রপ্রদেশ। সবথেকে পিছিয়ে আছে মধ্যপ্রদেশ।
নানহি কলি নামক এক সংস্থার করা সমীক্ষায় এই ফলাফল উঠে এসেছে। আরও যেসব তথ্য উঠে এসেছে, সেখানে দেখা গেছে জেলার ৫৪ শতাংশ এবং কোলকাতার ৭৫ শতাংশ কিশোরী ঋতুকালীন সুরক্ষার ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থা নেয়। এই শতাংশ কয়েক বছর আগে পর্যন্ত ছিল ১১।
দেশের ৬০০ টি জেলায় এই সংস্থা কিশোরীদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট তৈরী করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে কোলকাতার ১৩ থেকে ১৯ বছরের মেয়েদের প্রায় ১০০ শতাংশ পড়াশোনা করছে। যেখানে দেশের গড় ৮০। চাকরি করতে আগ্রহী কোলকাতার ৫৯ ও পশ্চিমবঙ্গের ৭১ শতাংশ কিশোরী।
২০১১ সালের আদমসুমারির রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের ৮ কোটি কিশোরীর মধ্যে কোলকাতায় থাকে ৬১ লক্ষ। রাজ্যের ৭৫ এবং কোলকাতার ৮৮ শতাংশ মেয়েই চায় ২১ বছরের পর বিয়ে করতে। তাঁর আগে পড়াশোনা শেষ করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে তাদের আগ্রহ। কোলকাতার ৭২ এবং রাজ্যের ৬৬ শতাংশ কিশোরী উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী।