রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

নানা জটিলতায় গতি হারাচ্ছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প, হতাশ হয়ে পড়ছে যাত্রীরা

February 28, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের গোটা রুট কবে চালু হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তার পাহাড় তৈরি হয়েছে। টানেল করতে গিয়ে বউবাজারের একাধিক জায়গায় বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। স্বভাবতই মাটির নীচে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রোপথের সংযুক্তিকরণ ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ রুটে নয়, বউবাজারের ঝক্কি থাকায় আপাতত প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে এসপ্লানেড পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত পরিষেবা চালু করা হতে পারে।

মেট্রো রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দুর্গাপুজোর আগেই গঙ্গার তলা দিয়ে যাত্রী নিয়ে ছুটবে মেট্রো রেল। শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত পরিষেবা ইতিমধ্যেই চালু হয়ে গিয়েছে। মাটির নীচে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত মেট্রোপথের সংযুক্তিকরণ ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তাই গোটা রুটে ট্রেন না চালিয়ে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত বিক্ষিপ্ত পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেডমুখী মেট্রো টানেল পুরোপুরি তৈরি হয়ে গিয়েছে। এপ্রিল মাস থেকে গঙ্গার তলা দিয়ে ট্রায়াল রান শুরুর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। সেই মহড়া চলবে তিনমাস। তারপর চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির (সিআরএস) কাছে আবেদন করা হবে। সব মিলিয়ে মাস পাঁচেক সময় লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে এই ‘ভাঙা’ পথে মেট্রো চলবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ।

ট্রায়ালের জন্য মেট্রো রেক এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত কীভাবে আনা হবে? সেখানেও তৈরি হতে চলেছে এক নতুন ইতিহাস। বউবাজারে বিপর্যয়ের ফলে শিয়ালদহ থেকে এসপ্ল্যানেড— পশ্চিমমুখী টানেলের বহু কাজ বাকি। এই অংশে ট্র্যাকও বসেনি। কিন্তু পূর্বমুখী অর্থাৎ এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত টানেলটি তৈরি। যদিও সেই লাইনে এখনও বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়নি। ঠিক হয়েছে, এপ্রিল মাসে শিয়ালদহ থেকে একটি মেট্রো রেককে পূর্বমুখী টানেলে আনা হবে। তারপর সেখান থেকে ‘টাও চেন’ দিয়ে অর্থাৎ অকেজো গাড়িকে যেভাবে রাস্তায় টেনে নিয়ে যাওয়া হয়, সেভাবে এসপ্ল্যানেডে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে ‘থার্ড লাইনের পাওয়ার’ পেয়ে মহাকরণ, হাওড়া স্টেশন হয়ে হাওড়া ময়দান পৌঁছবে মেট্রো। গঙ্গার জলস্তর থেকে ৩০ মিটার নীচে অবস্থান করছে টানেল। এটাই দেশর সবচেয়ে গভীরতম টানেল। নদীর এপাড়-ওপাড়ের দূরত্ব ৫২০ মিটার।

অন্যদিকে ফেব্রুয়ারি শেষ হলেও নিউ গড়িয়া-রুবি রুটে যাত্রীপরিষেবা শুরুর দিনক্ষণ এখন‍ও ঠিক হল না। প্রথমে ঠিক ছিল গত বছর দীপাবলির উপহার হিসাবে শহরবাসীর জন্য এই রুট চালু করা হবে। কিন্তু দীপাবলি পার হয়ে গেলেও মেট্রো চালু হয়নি। তারপর ঠিক হয়, ডিসেম্বরের শেষে নতুন বছরের উপহার হিসাবে জোকা-তারাতলার সঙ্গেই খুলে যাবে এই রুট। কিন্তু তাও হয়নি। সবশেষে কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটির লাইন পরিদর্শনের পর বলা হয়েছিল ফেব্রুয়ারিতে অন্তত অরেঞ্জ লাইন খুলে যাবে যাত্রীদের জন্য। কিন্তু তাও হল না।

যাত্রীদের বক্তব্য, কবে থেকেই তো শুনছি এই রুটে মেট্রো চলা শুরু হবে। কিন্তু কোথায় কী! দিনক্ষণ তো কিছুই জানতে পারছি না। যদিও মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, ট্রেন চালানোর জন্য তাঁরা সবদিক থেকে প্রস্তুত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Passengers, #kolkata metro, #east west metro, #metro

আরো দেখুন