তৃণমূলের নেতৃত্বে BJP বিরোধী জোট সরকার হতে পারে মেঘালয়ে, মিলছে ইঙ্গিত
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২৭ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোমবার মেঘালয়ের ৬০টি বিধানসভার মধ্যে ৫৯টিতে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। পশ্চিম খাসি পাহাড়ের সোহিয়ং কেন্দ্রে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির (ইউডিপি) প্রার্থী এইচডিআর লিংডো’র মৃত্যুর কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছিল৷
এবার মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচনে, তিনটি দলের জন্য সবচেয়ে বেশি বাজি ধরছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমার নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস (যাদের প্রধান মুখ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা) এবং স্পিকার মেতবা লিংডোর নেতৃত্বে ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (ইউডিপি)। বিজেপি এবং কংগ্রেস এখানে কার্যত ছোট আঞ্চলিক দলগুলির ময়দানে রয়েছে।
বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, মেঘালয়ে এবার কোনও দল ম্যাজিক ফিগার ৩১ পার করতে পারবে না। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস ৯-১৫টি আসন পেতে পারে, ইউডিপি ৪-৫টি, কংগ্রেস ৪-৫টি, এনপিপি ১১-১৫টি, বিজেপি ৩-৫টি আসন পেতে পারে।
অর্থাৎ বুথ ফেরত সমীক্ষা যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে একাধিক সংস্থা আভাস দিয়েছে মেঘালয়ে ত্রিশঙ্কু পরিস্থিতি হতে পারে। সেই প্রেক্ষাপটে তৃণমূল হয়ে উঠতে পারে কিং মেকার। ২০১৮ সালে বিধানসভা ভোটের পর মেঘালয়ে সরকার গড়েছিল এনপিপি-বিজেপি জোট। বিরোধী দলে ছিল কংগ্রেস। কিন্তু মুকুল সাংমার নেতৃত্বে সেই কংগ্রেসের এক ডজনের বেশি বিধায়ক তৃণমূলে যোগ দিয়ে দেন। গত দেড় বছর ধরে তৃণমূলই খাতায় কলমে ছিল মেঘালয়ের বিরোধী দল।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিধানসভা নির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাহুল গান্ধীর মধ্যে যতই বাকযুদ্ধ হোক না কেন, দু’দল এবার কাছাকাছি এসে জোট গঠন করে সরকার তৈরি করতে পারে। যা আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে জাতীয় রাজনীতেতে বিশেষ বার্তা দিতে পারে। যখন কেন্দ্রে বিজেপি বিরোধী জোট ঠিকভাবে দানা বাঁধছে না তখন এই দুই দল মেঘালয় থেকে বিজেপি বিরোধী জোটের একটা বার্তা গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ পাবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
বলে রাখা ভাল, বুথ ফেরত সমীক্ষা কখনওই ধ্রুব সত্য নয়। বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়াটি বিজ্ঞানসম্মত। তা থেকে ভোট শতাংশের একটা ধারণা পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু ভোট শতাংশ থেকে আসন সংখ্যা বের করার প্রক্রিয়াটি এখনও অনেক সমীক্ষা সংস্থা ত্রুটি মুক্ত করতে পারেনি। তবে হ্যাঁ ভোট শতাংশের পূর্বাভাস থেকে ফলাফলের একটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। ফলে বাস্তবে কী হবে, তা স্পষ্ট হয়ে যাবে ২ মার্চ ফল ঘোষণার পরেই।