সংক্রমিত এগরার তৃণমূল বিধায়ক, ভর্তি হাসপাতালে
ফের রাজ্যের শাসকদলের অন্দরে করোনার হানা। এবার পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার তৃণমূল বিধায়ক সমরেশ দাস করোনায় আক্রান্ত হলেন। এর আগে তৃণমূলের চার বিধায়ক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
জ্বর, সর্দির মতো করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার সকালে সমরেশবাবু এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল যান। সন্দেহ হওয়ায় সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁর লালা পরীক্ষা করেন। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। গতকাল রাতেই তাঁকে পাঁশকুড়ার মেচগ্রামের বড়মা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিধায়কের ছেলে এবং গাড়ির চালকের লালার নমুনা নেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, দলের বেশকিছু সভা-কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। তবে তাঁকে শেষ দেখা গিয়েছিল ১৩ জুন বালিঘাইয়ে বাংলার গর্ব কর্মসূচিতে। এদিকে বিধায়কের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তৃণমূলের জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী জানান, ওনার বিষয়টি শুনেছি। আপাতত দলের সভা জমায়েত বন্ধ রাখা হচ্ছে।
এদিকে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডলও করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার রঘুনাথগঞ্জের বিধায়ক মহম্মদ আখরুজ্জামানের করোনা রিপোর্টও পজিটিভ আসে। পরে তাঁর স্ত্রী, পুত্র, গাড়ির চালক ও নিরাপত্তারক্ষীর শরীরেও করোনার সংক্রমণ মেলে। তাঁরা প্রত্যেকেই কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগেও রাজ্যের শাসকদলের একাধিক বিধায়ক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও তাঁর পরিবারের কয়েকজন সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তাঁরা সকলেই সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। এদিকে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ফলতার তৃণমূল বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ। পানিহাটির বিধায়ক তথা বিধানসভার তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষও করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে তিনিও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। সম্প্রতি মালদার বৈষ্ণবনগরের বিজেপি বিধায়কও করোনায় আক্রান্ত হন।