বসন্ত উৎসব থেকে দুর্গাপুজো, উপাসনা গৃহে দাঁড়িয়ে বাঙালির আবেগকে খোঁচা বিদ্যুতের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবারেও হচ্ছে না বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব। যা নিয়ে নানা মহলে রয়েছে তীব্র ক্ষোভ। এর মধ্যেই বুধবার বিশ্বভারতীর সাপ্তাহিক উপাসনায় নতুন করে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। তিনি বলেন, প্রথার কথা যারা বলছেন, তারা বসন্ত উৎসবের নামে বসন্ত তাণ্ডব চান। উপাচার্যের দাবি, তিনি তাণ্ডবের পক্ষপাতী নন, সেই কারণে বসন্ত বন্দনার আয়োজন করা হয়েছে। দুর্গাপুজো নিয়েও বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন উপাচার্য। তিনি বলেন, ব্রিটিশদের পদলেহন করার জন্য দুর্গাপুজোর প্রচলন করা হয়েছিল। ব্রিটিশদের পান করার জন্য দুর্গামঞ্চে নানারকম পানীয় রাখা হত। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোকে নিয়ে উপাচার্যের এহেন মন্তব্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
উপাচার্য এদিন বলেন, বিশ্বভারতীর অনুষ্ঠান আম জনতার জন্য নয়। তাঁর দাবি, এই কারণে অনেকেই ক্ষুব্ধ। উপাচার্যের আরও দাবি, ২০১৯ সালে বসন্ত উৎসব বসন্ত তাণ্ডবে পরিণত হয়েছিল। বসন্ত উৎসব এবং বসন্ত বন্দনা কোনওটাই প্রথা ছিল না। গুরুদেব উৎসব করেননি। তারা তাণ্ডব বন্ধ করার চেষ্টা করেছেন। আশ্রমিকদের নাম না করে তিনি বলেন, বিশ্বভারতী নাকি অশিক্ষিত-অল্পশিক্ষিত লোকে ভরে গিয়েছে। দুর্গাপুজো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্রিটিশদের পদলেহন করার জন্য নাকি দুর্গাপুজোর প্রচলন হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, উপাসনা গৃহ শান্তিনিকেতন ট্রাস্টের সম্পত্তি। সেখানে দাঁড়িয়ে উপাচার্যের এমন কুকথা বিরুদ্ধে, গত সপ্তাহে স্থানীয় রবীন্দ্রপ্রেমীরা সরব হয়েছিলেন। উপাচার্যের বিরুদ্ধে ট্রাস্টকে তাঁরা স্মারকলিপিও জমা দেন। যদিও ফের সাপ্তাহিক উপাসনায় সেখানেই বিতর্কিত মন্তব্য করছেন উপাচার্য। ট্রাস্টের সম্পাদক অনিল কোনারের কথায়, উপাসনা গৃহে আগে কখনও এমন মন্তব্য করা হয়নি। এ বিষয়ে তারা শীঘ্রই আলোচনায় বসবেন বলেও জানিয়েছেন।