ডেটা চুরির শিকার দেশের তালিকায় ভারত দ্বিতীয়, আপনার তথ্য নিরাপদ কি?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সভ্যতা যত এগোচ্ছে, প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে ততই নতুন নতুন সংকট ঘিরে ধরছে মানবজীবনকে। ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২২ সালের অক্টোবর, প্রায় জন্যে মধ্যে ১,৩০০-রও বেশি ডেটা চুরির ঘটনা ঘটেছে। টেনএবলের সিকিউরিটি রেসপন্স টিমের সমীক্ষায় তা জানা গিয়েছে। সেই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য-পরিসংখ্যান ও বিশ্লেষণ টেনএবল ২০২২ থ্রেট ল্যান্ডস্কেপ রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে।
ওই নির্দিষ্ট সময়কালের মধ্যে গোটা বিশ্বের প্রায় ২.২৯ বিলিয়ন রেকর্ড হ্যাকারদের হাতে চলে গিয়েছে। যার মধ্যে ১৪৩টি ডেটা চুরির ঘটনা এশিয়া প্যাসিফিক এবং জাপান থেকে ঘটেছে। প্রায় ৬৮ শতাংশ। ডেটা চুরির শিকার হওয়া দেশের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। এক বছরে ভারত থেকে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন রেকর্ডের নাগাল পেয়েছে হ্যাকাররা। সেখানে উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা মিলিয়ে পরিমাণ ৬৯০ মিলিয়ন রেকর্ড।
ব়্যানসামওয়্যার হামলা ও অসুরক্ষিত ডেটাবেসের কারণে ভারত ডেটা চুরির কবলে পড়েছে। তথ্য-পরিসংখ্যান পর্যবেক্ষণ করে বিশেষজ্ঞরা দাবি করছেন, ভারতে ৩৩ শতাংশ ডেটা চুরি হয়েছে ব়্যানসামওয়্যার হানার কারণ, ১৭ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী আনসিকিউরড ডেটাবেসের কারণে তথ্য খোওয়া গিয়েছে। হেলথকেয়ার এবং রিটেইল সেক্টরকে মূলত টার্গেট করেছে হ্যাকাররা। দুই ক্ষেত্র থেকে ১১ শতাংশ করে ডেটা চুরি হয়েছে। এছাড়াও দেশের আর্থিক পরিষেবা, শিক্ষা, পেশাদারি ও কারিগরি পরিষেবা এবং জন প্রশাসন প্রতিটি ক্ষেত্রেই ডেটা চুরির ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রায় ৬ শতাংশ করে ডেটা চুরির ঘটনা ঘটেছে। গবেষকরা বলছেন, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দেশে ডেটা অসুরক্ষিত হয়ে পড়ছে। অনেক ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কর্তৃপক্ষ জানা সত্ত্বেও তথ্য রক্ষা করার কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ডেটা চুরির ঘটনা ঘটেছে।