বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

ফেলুদার দোল এবং মগনলালের হোলির মধ্যে ফারাক কোথায়?

March 25, 2024 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজই রঙের উৎসবে মাতোয়ারা বাংলা। দোল উৎসবের অপর নাম হল বসন্তোত্‍সব। দিনটির গুরুত্ব অপরিসীম। রাধাকৃষ্ণের পুজোর সঙ্গে সঙ্গে দোল উৎসব পালিত হয় মহাসমারোহে। যদিও ভারতের বেশির ভাগ জায়গায় রঙের উৎসব হোলি নামেই পরিচিত। তবে দোল এবং হোলির মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে। বাঙালিরা যেদিন দোল খেলে, ঠিক তার পরের দিন হোলি পালিত হয়।

দোলযাত্রা পালিত হয় দোলপূর্ণিমা তিথিতে। রাধা ও কৃষ্ণর প্রেমের কাহিনী উপর ভিত্তি করে এই উৎসব পালিত হয়। অন্যদিকে, নৃসিংহ অবতারের হাতে হিরণ্যকশিপু বধ হওয়ার পৌরাণিক গল্পের উপর ভিত্তি করে হোলি পালন করা হয়। পঞ্জিকা অনুসারে ফাল্গ‌ুন পূর্ণিমার রাতের পরদিন দোল পালন করা হয়। এ বছর দোল উৎসব পালিত হবে ৭ মার্চ এবং হোলি উৎসব হবে ৮ মার্চ।

মনে করা হয়, দোলের দিন রাধা আর তাঁর সখীরা দল রঙ খেলায় মেতে উঠেছিলেন। কথিত আছে, সেদিনই কৃষ্ণ রাধার প্রতি তাঁর প্রেম নিবেদন করেছিলেন। কথিত আছে, এই দিনই রাধিকাকে ফাগে অর্থাৎ গুড়ো রঙে রাঙিয়ে দিয়েছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি হিসেবে পরিচিত মথুরা ও রাধার জন্মস্থান হিসেবে খ্যাত বৃন্দাবনে ১৬ দিন ধরে এই দোল উৎসব পালিত হয়। বাংলা মনে করা হয়, এ দিন চৈতন্যদেবের আবির্ভাব হয়েছিল।

অন্যদিকে, হোলি উৎসব হল রাজা হিরণাকশীপুর পুত্র, ভক্ত প্রহ্লাদের কাহিনী। দৈত্যকুলের মধ্যে রাক্ষস রাজা হিরণ্যকশিপুর পুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন বিষ্ণু ভক্ত। ছেলের এই বিষ্ণু ভক্তি দেখে পিতা হিরণ্যকশিপু ছেলেকে বধ করার চেষ্টা করেন। হিরণ্যকশিপুকে সাহায্য করেছিলেন তার বোন হোলিকা। হিরণ্যকশিপুর বোন হোলিকা প্রহ্লাদকে আগুনে পুড়িয়ে মারার প্রচেষ্টা করেন। সেই উদ্দেশ্যে প্রহল্লাদকে নিয়ে আগুনে ঝাঁপ দেন কাশ্যপ কন্যা। তবে বিষ্ণুর কৃপায় আগুন প্রহ্লাদকে স্পর্শ করতে না পারলেও, আগুনে পুড়ে মরেন হোলিকা। অশুভকে হারিয়ে শুভ শক্তির জয় পালনের জন্যে হোলি পালিত হয়। বাঙালির বুড়িরঘর পোড়ানো তেমন অবাঙালির হোলিকা দহন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#DOL, #Festival, #Doljatra, #dolyatra, #Holi2023, #Holi festival, #Colours, #holi

আরো দেখুন