আজ থেকে দক্ষিণবঙ্গে শুরু ঝড়-বৃষ্টি, কেমন থাকবে বাংলার আবহাওয়া?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে আবহাওয়া। ইতিমধ্যেই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভবনার কথা জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আগামী কয়েকদিন রাজ্যের সর্বত্র বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভবনা থাকায় জেলা প্রশাসনগুলিকে সতর্ক করেছে নবান্ন। ঝড়-বৃষ্টির কারণে, কাঁচা ঘর-বাড়ি, মাঠে থাকা কৃষিপণ্যর ক্ষতির আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। বছরের এই সময়ে মূলত বোরো ধান ও রবি ফসল ওঠে। গ্রীষ্মকালীন সব্জির চাষও শুরু হয়েছে রাজ্যে। বৃষ্টি বেশি হলে, সব্জির ক্ষতির আশঙ্কা থাকবে বলেই জানাচ্ছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
তবে বৃষ্টি কম বা মাঝারি হলে তা সব্জি চাষের পক্ষে উপযোগী হবে। এ সময় মাঠে আলু তোলার কাজ চলছে। জলে নতুন আলু যাতে নষ্ট না হয়, সেদিকেও নজর রাখার নিদান দিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা। তবে কৃষিদপ্তরের আবহাওয়াবিদরা বলছেন, কালবৈশাখীর বৃষ্টি বোরো ধানের চাষের ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। বাংলায় এখন পাটের চাষ শুরু হচ্ছে। বৃষ্টি হলে তা পাট চাষের পক্ষে ভাল।
এবারে বাংলায় শীত বৃষ্টিহীন গিয়েছে। গত নভেম্বর থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হয়নি। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে কম বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টি হলে নদী, খাল, বিল, পুকুর প্রভৃতিতে জল সঞ্চয় হবে। অনাবৃষ্টির কারণে ভূগর্ভস্থ জলস্তর অনেকটা নেমে গিয়েছে। বৃষ্টি হলে সেই জলস্তর বাড়বে। সাফ কথায়, কালবৈশাখী বৃষ্টির ইতিবাচক দিকও রয়েছে। তবে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতের আশঙ্কা থাকে। এটাই চিন্তার। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বজ্রপাতজনিত মৃত্যু ঠেকাতে মানুষকে সচেতন হতে হবে। বৃষ্টিপাতের সময় খোলা আকাশের নীচে না থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। আবহাওয়া দপ্তর বলছে, আজ বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টি শুরু হবে। এখন মূলত পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে কালবৈশাখী হবে। শুক্র থেকে রবিবার পর্যন্ত কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।