২৪শের আগে দল ও সরকারের সঙ্ঘ মুক্ত ‘পাওয়ার সেন্টার’-এর ভাবনা মোদী-শাহর?

নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালদের সঙ্গে টিম থাকছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, শিল্প বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু।

March 15, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ক্রমেই পাল্টে যাচ্ছে বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীকরণ। মোদী সরকারও ক্ষমতা বণ্টনের ক্ষেত্রে বদল আনছে। তৃণমূলস্তর থেকে উঠে আসা নেতাদের পিছনের সারিতে পাঠিয়ে, মন্ত্রিসভার বিভিন্ন পদে থাকা নানা ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে টিম মোদী বানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ বা অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, এমন লোকদের নিয়ে ২০২৪-এর আগে মোদী নতুন টিম গড়ছে। যাদের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে, ঠান্ডা মাথা‌য় সিদ্ধান্ত নিতে পারেন কিন্তু যাদের রাজনৈতিক কর্তৃত্ব নেই; তাদের নিয়ে তৈরি হচ্ছে টিম। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালদের সঙ্গে টিম থাকছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, শিল্প বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। এই দলই এখন ক্ষমতার ভরকেন্দ্র, কেন্দ্র আসীন বিজেপি সরকারের নীতি নির্ধারণের চালিকাশক্তি।

মন্ত্রিসভার অন্যতম ক্ষমতাধর মন্ত্রীদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ী। রাজনাথ ও নীতিন গড়কড়ী সঙ্ঘ থেকেই উঠে এসেছেন। মোদী-শাহ আমলে, তাদের মোদী সরকারে ও দলের কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াতেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। ক্রমেই বিজেপি ও বিজেপি শাসিত কেন্দ্র সরকারের চালিকাশক্তি একই হয়ে গিয়েছে। মোদী, শাহ ও নাড্ডাই সব সিদ্ধান্ত নেন। দীর্ঘদিন যাবৎ সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণ কমিটির সংসদীয় বোর্ডের বৈঠক হয় না। যেসব নেতাদের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা এবং রাজনীতির অভিজ্ঞতা রয়েছে, তাদেরকেই বেছে বেছে সংসদীয় বোর্ড থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ, নীতিন গড়কড়ী ও শিবরাজ সিং চৌহানরা বাদ পড়েছেন। এখন বিজেপিতে একচ্ছত্রভাবে কার্যত রাজত্ব করছেন মোদী-শাহ-নাড্ডা ত্রয়ী। সেই একই অঙ্ক এবার কেন্দ্র সরকার চালানোর ছক কষে ফেলা হল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen