হকারদের হক আদায়ে লাগাতার রেল অবরোধ জাতীয় বাংলা সম্মেলনের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাংলাজুড়ে ট্রেন হকার ও প্ল্যাটফর্ম হকারদের ওপর আরপিএফের নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিগত দেড় বছর ধরে জাতীয় বাংলা সম্মেলন লড়ছে। কিন্তু বিগত কয়েক মাসে বাংলায় হকারদের ওপর অত্যাচারের মাত্রা বহুগুণে বাড়িয়েছে আরপিএফরা। তার প্রতিবাদে বাংলার বুকে গত দশ দিনে তিন বার রেল অবরোধ করেছে জাতীয় বাংলা সম্মেলন।
৩ মার্চ সাঁতরাগাছিতে হকারদের টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে আন্দুল, সাঁতরাগাছি, আবাদা, বাগনান, কুলগাছিয়া, উলুবেড়িয়ায় রেল অবরোধ করেছিল জাতীয় বাংলা সম্মেলন। ফের চলতি মাসের ১১ তারিখ রেল অবরোধ করেছিল জাতীয় বাংলা সম্মেলন। অভিযোগ ছিল বিগত কিছুদিন ধরেই পুরী কামাক্ষা এক্সপ্রেসে হকারদের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। হকারদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠছিল। মনে করা হচ্ছে, ওই ট্রেনে বহিরাগত সংস্থাকে খাবার দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। সেই কারণেই নাকি বিশ্বাস করা হচ্ছে। হকারদের ট্রেন থেকে নামিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, আরপিএফ তাদের থেকে মোটা অঙ্কের টাকাও দাবি করে। জাতীয় বাংলা সম্মেলনের কয়েক হাজার সহযোদ্ধা পথে নামে। গুপ্তিপাড়ায় দীর্ঘক্ষণ প্রতিবাদ চলে। রেল অবরোধ করেন ক্ষুব্ধ হকাররা। প্রায় ১ ঘন্টা অবরোধ, স্তব্ধ হয়ে যায় রেল চলাচল। সিদ্ধব্রত দাশ জানান, বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের পেটে লাথি মেরে কোনও ব্যবসা করা যাবে। তারা করতে দেবেন না।
এরপর আবার গতকাল সকাল ন’টা নাগাদ শালিমার স্টেশনে দু-জন হকারকে ধরে আরপিএফ। অভিযোগ উঠছে, তাদের আটক করে রেখে হাজার টাকা করে দাবি করা হয়। হকাররা ওই অর্থ দিতে না পারায়, তাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হাওড়া জেলা কোর্টে তোলা হয় বলে অভিযোগ। এতে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৌখিকভাবে সমস্যা না মেটায়, হকাররা রেল অবরোধের পথ বেছে নেন। খড়গপুর ডিভিশনের ৫ জায়গায় একত্রে রেল অবরোধ হয়। ফুলেশ্বর, সাকরাইল, নলপুর, রাধামোহনপুর, মাতপুরে রেল অবরোধ করে জাতীয় বাংলা সম্মেলনের হকার সংগঠন বঙ্গীয় হকার সম্মেলন। ঘণ্টাখানেকের জন্য রেল অবরোধ হয়। খড়গপুর ডিভিশনের রেল চলাচল পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায়। আরপিএফ বাধ্য হয়ে হকারদের দাবি মেনে নেয়। পাশাপাশি হকারদের কোর্ট কেসের টাকাও আরপিএফ মিটিয়ে দেয়।