শহিদ দিবসের উপলক্ষে গান বাঁধলেন মমতা- যৌবন জাগো নতুন ভোরে
একুশের আগে শেষ একুশ । ভিড়ে ঠাসা সভার বদলে ভার্চুয়াল জমায়েত । ২৬ বছরে পা রাখা একুশে জুলাই এবার রাজনীতি এবং আঙ্গিক দুই দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ । এক অন্যরকম শহিদ দিবস ৷ ফের কলম ধরলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় ৷ দিনটিকে উৎসর্গ করে তিনি লিখেছেন একটি গান- ‘সকল বাধা ছিন্ন করে জাগো যৌবন নতুন সুরে’
দেবজ্যোতি মিশ্রর সুরে সা রে গা মা পা -য় অংশ নেওয়া ১১ জন শিল্পী গেয়েছেন শহিদ দিবস উপলক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এই গান ৷ কোরাসে গলা দিয়েছেন আরও ছয় জেলার শিল্পীরা ৷ রয়েছেন প্রতিভাবান খুদে শিল্পীরাও ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই গানে কঠিন সময়ের সঙ্গে লড়ে সমস্ত বাধা কাটিয়ে ফের জীবনে ফেরার বার্তা রয়েছে ৷ যা আমফান, করোনা বিধ্বস্ত বাংলাকে নতুন করে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেবে বলেই মনে করছেন অনুরাগীরা ৷ দলীয় সূত্রে খবর, শহিদ ১৩ তরতাজা প্রাণের সম্মানে শহিদ দিবসে সারাদিন বাজবে এই গান ৷
করোনা সংক্রমণের আবহে একুশের ইতিহাসে এই প্রথম ভার্চুয়াল জমায়েতে মমতা। এবারের একুশ তাই বোধহয় অন্য বছরের চেয়ে আলাদা। রাজনৈতিক মূল্যের পাশাপাশি আয়োজনের বিন্যাসেও। ১৯৯৩-এর ‘নো আইডেন্টিটি, নো ভোট’ এই স্লোগানকে হাতিয়ার করে রাইটার্স অভিযান করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন প্রদেশ যুব কংগ্রেস। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান ১৩ জন তরতাজা যুবক। শহিদের স্মৃতি তর্পণে ১৯৯৪ থেকেই শুরু হয় একুশে জুলাইয়ের জনসমাবেশ । ২০১৩ সাল ছিল ব্যতিক্রম । ওই বছর বাদে প্রতি বছরই পালিত হয়েছে এই সমাবেশ ।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক এবার তৃণমূলের কী কী কর্মসূচি একুশে জুলাইয়ের অনুষ্ঠানকে ঘিরে-
- বেলা সাড়ে এগারোটায় একুশে স্মারকে (বিড়লা তারামণ্ডলের পাশে) মাল্যদান করবেন ফিরহাদ হাকিম৷
- বেলা এগারোটায় ধর্মতলার শহিদ স্মৃতি বেদিতে মাল্যদান করবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ।
- বেলা বারোটায় বুথে বুথে তোলা হবে দলীয় পতাকা ।
- বেলা একটায় প্রতি বিধানসভা কেন্দ্রে ভাষণ দেবেন স্থানীয় বিধায়করা। অঞ্চলে অঞ্চলে তাঁদের ভাষণ দিয়েই শুরু হবে একুশে জুলাই উদযাপন অনুষ্ঠান।
- এর পর দুপুর দুটোয় ভাষণ দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জায়েন্ট স্ক্রিনে দলনেত্রীর ভাষণ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে দলের তরফে। এছাড়া ফেসবুক, ইউটিউব এবং দলের সব কটি অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এই ভাষণ শোনা যাবে ।
এবছর আরও একটি ব্যতিক্রম। ধারাবাহিকতা বজায় রেখেই আঙ্গিকে বড়সড় বদল৷ একুশে জুলাই ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মেই দুপুর দুটোয় ভাষণ দেবেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা, আম্পানের জেরে রাজ্যের অনেক জায়গাই বিধ্বস্ত৷ সামনেই রাজ্যে নির্বাচন। আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিজেপি৷ এই পরিস্থিতিতে দলনেত্রীর রাজনৈতিক ভাষণের দিকে তাকিয়ে তৃণমূল। একদিকে নিজের দলের নেতা কর্মীদের বার্তা । অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগের জবাব। দলনেত্রীর ভাষণে এই দুইয়েরই ইঙ্গিত পেতে চায় দল৷