রাজপুরে বিপত্তারিণী চণ্ডী মন্দির প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জানেন?

এখানে বিপত্তারিণী দেবী চারহাত বিশিষ্টা। একহাতে রয়েছে খড়্গ, আরেক হাতে রয়েছে ত্রিশূল। অন্য দুই হাতে দেবী বরাভয় এবং অভয় দানকারিণী

March 22, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
রাজপুরে বিপত্তারিণী চণ্ডী, ছবি সৌজন্যে-bipadtarinichandibari.org

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজপুরে বিরাজ করছেন মা বিপত্তারিণী। গড়িয়া থেকে বারুইপুর যাওয়ার পথে, রাজপুর বাজারের আগে বাঁদিকে কিছুটা এগোলে পড়বে বিপত্তারিণী চণ্ডী মন্দির। জনৈক বাবা দুলাল মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাবা দুলাল হলেন সাধনচন্দ্র দাস ও বসন্তকুমারী দাসের পুত্র দুলালচন্দ্র দাস। ছোট থেকেই দুলাল ছিলেন ঈশ্বর ভক্ত। পরবর্তীতে তিনি ঈশ্বর সাধনা আরম্ভ করেন। দেবী চণ্ডীকে নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দুলাল।

দেবী চণ্ডীকে নিজের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন দুলাল (বাম দিকে), ছবি সৌজন্যে-bipadtarinichandibari.org

শোনা যায়, বেলগাছের নীচে বসে কৃষ্ণবর্ণা সিংহবাহিনী দেবীর সাধনা করেন দুলাল। দুলালের সাধনার জায়গা রত্নবেদী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ভক্তদের দাবি, দুলালের কাছে গিয়ে কোনও মনস্কামনার কথা জানালে, তিনি তা পূরণ করে দিতেন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, মন্দিরের মা ভক্তদের মনস্কামনা পূরণ করেন।

দুলালের সাধনার জায়গা রত্নবেদী, ছবি সৌজন্যে-bipadtarinichandibari.org

মন্দিরে আজও নিত্যপুজো হয়। জনশ্রুতি রয়েছে, দুলালচন্দ্র দাস দেবীর দর্শন পেয়েছিলেন। দেবীই তাঁকে বলে দিয়েছিলেন, তাঁর রূপ কেমন হবে। কীভাবে তাঁর পুজো করতে হবে। দেবী চণ্ডীরকে ঘিরে রয়েছে অজস্র অলৌকিক কাহিনি। এখানে বিপত্তারিণী দেবী চারহাত বিশিষ্টা। একহাতে রয়েছে খড়্গ, আরেক হাতে রয়েছে ত্রিশূল। অন্য দুই হাতে দেবী বরাভয় এবং অভয় দানকারিণী।

প্রতি শনি ও মঙ্গলবার মন্দিরে ভক্ত সমাগম বাড়ে। এছাড়াও বছরে দুবার বিশেষ পুজো হয়। সোজা ও উলটোরথের মাঝের মঙ্গলবারে হয় বিপত্তারিণীর পুজো। সেদিন ভোর থেকে ভক্ত সমাগম শুরু হয়ে যায়। দেবীকে ১৩ রকমের ফল ও মিষ্টি দিয়ে পুজো দেওয়া হয়। ছাড়াও দুর্গাপুজোর নবমী তিথিতে বিশেষ পুজো হয়।

দেবীকে ১৩ রকমের ফল ও মিষ্টি দিয়ে পুজা করা হয়, ছবি সৌজন্যে-bipadtarinichandibari.org
TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen