কেন জোড়া গির্জা নাম হল?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শিয়ালদা পেরিয়ে মল্লিকবাজারের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। হঠাৎ দেখলেন স্টপেজের নাম জোড়া গির্জা। দাঁড়িয়ে রয়েছে একটি চার্চ। চার্চটির নাম জোড়া গির্জা। চার্চের এমন নাম হল কেন? কলকাতার প্রথম বিশপ ছিলেন টমাস ফ্যানশ মিডলটন। বৌবাজার অঞ্চলের খ্রিস্টানদের জন্যে তিনি গির্জা তৈরির উদ্যোগে ব্রতী হয়েছিলেন। জনৈক রবার্ট ল্যাজেরাস ডি’ অলিভিয়ার, এক কেরানি চার্চের জন্যে জমি দেন। ওই জমিতেই গড়ে ওঠে চার্চ, নাম সেন্ট জেমস চার্চ। জলা বুজিয়ে ভরাট করা জমি হওয়ায় নির্মাণের সময়তেই বিপত্তি আরম্ভ হল। ক্রমশ বসে যেতে থাকল চার্চ। ফলে চূড়া আর বানানো হল না। লোকজনও তেমন সেন্ট জেমস-এর বদলে ন্যাড়া গির্জা বলে ডাকতে আরম্ভ করল চার্চকে। এই চার্চে রাশি লগ্নে হয়ত সমস্যা ছিল। ১৮৫৮-এর ২২ আগস্ট সশব্দে ভেঙে পড়েছিল চার্চের ছাদ। উইয়ের বংশ কড়ি-বরগার দফারফা করে দিয়েছিল। কী আর করা যাবে। অগত্যা, ন্যাড়া গির্জাকে ত্যাজ্য সন্তান করে দেওয়া হল।
লোয়ার সার্কুলার রোডে জমি কিনে ফের আরেকটি সেন্ট জেমস চার্চ তৈরি করা হয়। কাজ শুরু হয় ১৮৬২ সালের ৭ জুন, আর চার্চ খুলে যায় দু বছর পর। দিনটা ছিল জুলাই মাসের পঁচিশ তারিখ। নতুন সেন্ট জেমস গির্জার মাথায় দুটো চূড়া বসল। আর সেই থেকে নাম হয়ে গেল জোড়া গির্জা। আজও ওই নামেই পরিচিত। জোড়া গির্জা বললেই বাস দাঁড়িয়ে যাবে সেখানে।
ভাষ্য পাঠ: মধুরিমা রায়
সম্পাদনা: রবিউল ইসলাম
তথ্য গবেষণা: সৌভিক রাজ