আজ Eastar Sunday, জানেন আজকের দিনের ঐতিহাসিক গুরুত্ব?

আজ ইস্টার সানডে। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের কাছে আজকের দিনটি অত্যন্ত পবিত্র। তাদের কাছে আজকের দিনটি পুরনো জীবনের অবসানের পরে নতুন জীবনের শুরুর প্রতীক।

April 9, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
চার্চে প্রার্থনা
ছবি সৌজন্যে worldfatimatv.blogspot.com

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ ইস্টার সানডে। খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের কাছে আজকের দিনটি অত্যন্ত পবিত্র। তাদের কাছে আজকের দিনটি পুরনো জীবনের অবসানের পরে নতুন জীবনের শুরুর প্রতীক। গুড ফ্রাইডের দিন, যিশুকে ক্রুসবিদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছিল। মৃত্যুর তৃতীয় দিনে অর্থাৎ রবিবার দিন তিনি মৃত্যু থেকে জেগে উঠেছিলেন। মনে করা হয়, এদিন মৃত্যুকে জয় করে প্রভু যিশু আবারও মানুষের মধ্যে ফিরে এসেছিলেন। প্রভুর পুনরুত্থান খ্রিস্ট ধর্মের বিশ্বাসীদের জন্য দিনটি আনন্দের। দেবী ইয়োস্ত্রের নাম অনুসারে, প্রভুর যিশুর পুনরুত্থান বা নবজন্মকে স্মরণ করে এই বিশেষ দিনটির নামকরণ করা হয়েছে।

ইস্টার সানডে কোনও নির্দিষ্ট তারিখে পালিত হয় না। ২১ মার্চের পর যখন আকাশে পূর্ণ চাঁদ প্রথম দেখা যায়, তারপরের রবিবার ইস্টার পালন করা হয়। সাধারণত ৪ এপ্রিল থেকে ৮ মের মধ্যে যেকোনও সময় ইস্টার সানডে পালিত হতে পারে।

খ্রিস্ট ধর্মের ভিত্তি হল, যিশুর জীবনদান এবং পুনরুজ্জীবন। ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে নানান ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালিত হয়। বিশ্বজুড়ে প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়। প্রতিটি গির্জায় ইস্টার সানডে উপলক্ষ্যে প্রার্থনা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মোমবাতি মিছিল, মৃদু ও সুরেলা সঙ্গীত এবং ধূপের গন্ধের মাধ্যমে গির্জার ঘণ্টা বাজিয়ে ইস্টার উদযাপন করা হয়। ইস্টার উপলক্ষ্যে, চকোলেট দিয়ে ইস্টার এগ এবং ইস্টার বানি (খরগোশ) বানানো হয়। লোকদের বিশ্বাস, এগুলো জন্ম এবং উর্বরতার প্রতীক। মৃত্যুর পর যিশুর পুনর্জন্মের প্রতীকও বলা চলে। নানা রঙ দিয়ে কারুকার্য করা ‘ইস্টার এগ’ বিতরণ করা হয়। রবিবার রাস্তায় রাস্তায় ‘ইস্টার বানি’ সেজে ঘুরে বেড়ানোর রেওয়াজ রয়েছে। তাঁরা আবার ছোটদের চকোলেট এগ উপহার দেয়। এছাড়াও নানান জায়গায় ইস্টার এগ নিয়ে মজার খেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen