পেগাসাসের পর এবার কগনাইট, ফের আড়িপাতার ফন্দি আঁটছে মোদী সরকার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। এবার শোনা যাচ্ছে, কগনাইট নামক আরও এক স্পাইওয়্যারের নাম। হাজার কোটি টাকা খরচ করে এই নয়া স্পাইওয়্যার কিনতে উঠে পড়ে লেগেছে মোদী সরকার। মনে করা হচ্ছে, নয়া এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে ফের বিরোধী নেতা, সমাজকর্মী ও সাংবাদিকদের মোবাইলে আড়ি পাতা হবে। কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেরা গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন। ব্রিটিশ দৈনিক ফিনান্সিয়াল টাইমস কয়েকদিন আগেই এ বিষয়ে খবর প্রকাশ করেছিল। প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের কারণে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের বিষয়ে সকলেই জেনে গিয়েছে। দাবি করা হয়, সেই কারণেই তুলনায় কম পরিচিত একটি নতুন স্পাইওয়্যার কিনতে তৎপর হয়েছে মোদী সরকার। তিনটি স্পাইওয়্যারের নাম প্রতিবেদনে লেখা হয়েছিল। তার মধ্যে একটি গ্রিসের প্রিডেটর, অন্য দুটি ইজরায়েলের স্পাইওয়্যার কোয়াড্রিম ও কগনাইট। জানা গিয়েছে, মোদী সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা কগনাইটকেই বেছেছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিরোধী।
গতকালের সাংবাদিক বৈঠক থেকে মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করা হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, বিরোধীদের উপর নজরদারি চালাতে কি মোদী সরকার নতুন কোনও প্রযুক্তি কেনার উদ্যোগ নিচ্ছে? সরকার কি ৯৮৬ কোটি টাকা খরচ করতেও রাজি? সরাসরি প্রশ্ন করা হয়েছে, কগনাইট সফ্টওয়্যার লিমিটেড নামে এক সংস্থার থেকে কি কিছু স্পাইওয়্যার কিনেছে সরকার? প্রযুক্তি কিনতে কত টাকা খরচ হয়েছে, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, বিরোধী রাজনৈতিক শিবির, এনজিও, সংবাদমাধ্যম, মানবাধিকার কর্মী, বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশনসহ গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে নজরদারি চালানোর জন্যই পেগাসাসের মতোই কগনাইটকে ব্যবহার করতে চাইছে মোদী সরকার।
পেগাসাস বহুলচর্চিত। সেখানে কগনাইটের কেউ খুব একটা জানেন না, ফলে সেদিকেই ঝাঁপাচ্ছে কেন্দ্র। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জুলাইয়ে পেগাসাসের কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের অভিযোগ ছিল, ইজরায়েলের সংস্থা এনএসওর তৈরি এই স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের নাগরিকদের উপর নজরদারি চালাচ্ছে। নাম আসে মোদী সরকারেরও। রাহুল গান্ধী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সহ অনেক ভারতীয়ের ফোনে আড়িপাতার অভিযোগ সামনে আসে। দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। দেশের সর্বোচ্চ আদালতে মামলা দায়ের হয়। আদালত নিযুক্ত একটি কমিটি পেগাসাসের বিষয়ে তদন্ত করছে।