হাওড়ার মতো বিহারেও রামনবমীর মিছিলে অশান্তির প্ররোচনা, বলছে পুলিশ রিপোর্ট

জরং দলের নেতা কুন্দর কুমার ও কিষান কুমার আত্মসমর্পণ করেছেন। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিস জানিয়েছে।

April 12, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
বিহারে রামনবমীতে হিংসা, ছবি সৌজন্যে-PTI

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রামনবমীতে অশান্তি বাধানোর নেপথ্যে ছিল দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা। বিহারে রামনবমীর হিংসার কারণ হিসাবে উঠে এল এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিহার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন বিহারের নালন্দা জেলার বজরং দলের আহ্বায়ক কুন্দন কুমার।

রীতিমতো পরিকল্পনা করে বিহার শরিফে রামনবমীর শোভাযাত্রা থেকে হিংসা ছড়ানো হয়েছিল। পুলিস জানিয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া ও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে হিংসার পরিকল্পনা করা হয় এবং তা বাস্তবায়িত করা হয়েছিল। কুন্দন কুমার ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিন। গ্রুপে ৪৫৬ জন সদস্য রয়েছেন। বিহার পুলিসের এডিজি জিতেন্দ্র সিং গাঙ্গওয়ার বলেন, রামনবমীর ঠিক আগে এই গ্রুপ তৈরি করা হয়।

এদিকে, রামনবমীর হিংসায় মদত দেওয়ার অভিযোগে কুন্দন কুমারের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা শুরু করে প্রশাসন। এরপরেই আত্মসমর্পণ করেন কুন্দন। গ্রুপের আর এক অ্যাডমিন কিষান কুমারও আত্মসমর্পণ করেন। জিতেন্দ্র আরও জানিয়েছেন, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে টার্গেট করে অবমাননাকর ভুয়ো ভিডিও পোস্ট করা হতো। শুধু তাই নয়, গ্রুপের সদস্যরা যাতে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভুয়ো ভিডিও ছড়িয়ে দেয়, তারও প্ররোচনা দেওয়া হতো। বিহার শরিফে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিস। এঁদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বজরং দলের নেতা কুন্দর কুমার ও কিষান কুমার আত্মসমর্পণ করেছেন। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিস জানিয়েছে।

গত ৩১ মার্চ বিহারশরিফে ছড়িয়ে পড়েছিল অশান্তি। তার জেরে নিহত হন এক তরুণ। আহত হন অনেকে। বিহারের রোহতাস জেলাতেও ছড়ায় অশান্তি। পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায়ও রাম নবমীর মিছিল ঘিরে অশান্তি ছড়িয়ে ছিল। বিহারের মুঙ্গের অভিযুক্ত সুমিত সাউকে গ্রেফতার করে হাওড়া সিটি পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, আগ্নেয়াস্ত্র হাতে রাম নবমীর মিছিলে থাকার কথা কবুল করেছে ওই তরুণ। ইতিমধ্যেই হাওড়ার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি।

রিষড়ায় রামনবমীর মিছিল থেকে স্থানীয়দের উদ্দেশে অশালীন ভাষা প্রয়োগের পাশাপাশি পাথরও ছোঁড়া হয়েছিল। রিষড়াকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে পুলিশের তরফে যে রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে, সেখানে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানানো হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন