চব্বিশের আগে রাজ্যে রাজ্যে ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতি তীব্র করছে BJP?

রাজ্যসরকারের এই নির্দেশের ফলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মা সারদা মন্দির থেকে ছেঁটে ফেলতে হবে দুই মুসলিম কর্মচারীকে।

April 19, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে বিজেপি’র মেরুকরণের রাজনীতি ততোই তীব্র হচ্ছে। রাজ্যে রাজ্যে তার লক্ষ্যণ প্রতিফলিত হচ্ছে। যেমন, সড়ক আটকে কিংবা যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা যাবে না উত্তরপ্রদেশে। বুধবার এই নির্দেশিকা জারি করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার।

উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব সঞ্জয় প্রসাদ এবং পুলিশের ডিজি আরকে বিশ্বকর্মা ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে জেলা স্তরের পুলিশ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। সঞ্জয় বলেন, ‘‘কোনও অবস্থাতেই রাস্তা আটকে বা যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং শোভাযাত্রা করা যাবে না। উপাসনাস্থল বা নির্ধারিত জায়গাতেই অনুষ্ঠান সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।’’

ইদের আগে যোগী সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশ সরকার নতুন নির্দেশিকায় জানিয়েছে, মুসলিম ব্যক্তিরা আর কোনও মন্দিরের কাজে অংশ নিতে পারবেন না। জানুয়ারি মাসে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের সদস্যরা মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিশ্বাস দপ্তরের মন্ত্রী উষা সিং ঠাকুরের সঙ্গে বৈঠক সারেন তাঁরা। তারপরেই দপ্তরের তরফে নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মন্দিরের কোনও কাজেই মুসলিমদের নিয়োগ করা যাবে না। মন্দিরের প্রশাসনিক কমিটিতেও ঠাঁই হবে না মুসলিমদের।

রাজ্যসরকারের এই নির্দেশের ফলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মা সারদা মন্দির থেকে ছেঁটে ফেলতে হবে দুই মুসলিম কর্মচারীকে। যাঁরা ৩৫ বছর ধরে মন্দিরের সমস্ত কাজ করেছেন। উল্লেখ্য মা সারদা মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে কিংবদন্তি সরোদবাদক বাবা আলাউদ্দিন খানের নাম। শক্তি পীঠের অন্তর্গত এই মন্দিরে এসে নিয়মিত সরোদ বাজাতেন তিনি। হিন্দু মন্দির হলেও সমস্ত ধর্মের সংমিশ্রণের সাক্ষী থেকেছে মা সারদা মন্দির। এবার হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির কারণে বিভেদের আবহ তৈরি হয়েছে এই মন্দিরে। শুধু এই মা সারদা মন্দির নয় এরকম বহু উদাহরণ রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। তাই তাঁরা সম্পূর্ণভাবে মেরুকরণের রাজনীতি শুরু করেছে। যে রাজ্য যেমন, সেখানে তেমন কৌশল অবলম্বন করছে তারা।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen