সত্যজিতের লেখা বইগুলো হয়ে উঠেছে বাংলা সাহিত্যের রত্ন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সত্যজিৎ রায় ক্যামেরা হাতে যেমন পারদর্শী ছিলেন, তেমনই কলম হাতেও তিনি ছিলেন দুর্ধর্ষ। তাঁর কলম জন্ম দিয়েছে শিশু ও কিশোর পাঠ্য অজস্র বইয়ের। একাধারে লিখেছেন গোয়েন্দা গল্প, আবার সিনেমা তৈরির অভিজ্ঞতাও লিখে গিয়েছেন তিনি। মূলত বাংলা ভাষাতেই লিখতেন তিনি। পরবর্তীতে তাঁর লেখা জার্মান, পলিশ, ফ্রেঞ্চ, স্প্যানিশ, ইতালিসহ বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে।
এক নজরে দেখে নিন মানিকবাবুর কিছু বই:
ফেলুদা সমগ্র
ফেলুদা সত্যজিৎ রায়ের অমর সৃষ্টি, ফেলু বাংলা সাহিত্যের এক জনপ্রিয় গোয়েন্দা চরিত্র। ফেলু কাহিনীতে রয়েছে ফেলুদা, তোপসে, লালমোহন গাঙ্গুলি। ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি থেকে রবার্টসনের রুবি – ফেলুদার সব গল্পই পাবেন দুই খণ্ডের ফেলুদা সমগ্রে।
প্রফেসর শঙ্কু সমগ্র
সত্যজিৎ রায় সৃষ্ট আরেক জনপ্রিয় চরিত্র হল বিজ্ঞান সাধক প্রফেসার শঙ্কু। প্রফেসার শঙ্কুর কাহিনীব পড়তে পড়তে কল্প বিজ্ঞানের এক অদ্ভুত দুনিয়ায় চলে যান পাঠকরা।
তারিণী খুড়ো
সত্যজিৎ রায় এক জীবনে বহু চরিত্রের জন্ম দিয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন তারিণী খুড়ো। তারিণী খুড়ো ছোট ছেলেদের অনুরোধে নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে গল্প শোনাতেন। তাঁর গল্প বলার ধরনও সবার থেকে আলাদা।
মোল্লা নাসীরুদ্দীনের গল্প
মানিকবাবু তথা রায় পরিবার শিশু সাহিত্যের জন্য আজীবন কলম চালিয়ে গিয়েছেন। মধ্য প্রাচ্যের মোল্লা নাসিরুদ্দীনের বেশ কিছু গল্প সংগ্রহ করে সত্যজিৎ লেখেন মোল্লা নাসীরুদ্দীনে্র গল্প। এই মজার গল্পগুলি যেকোন বয়সেই উপভোগ্য।
একেই বলে শুটিং
সত্যজিৎ রায়ের লেখা একটি নন-ফিকশন গ্রন্থ, একেই বলে শুটিং। চলচ্চিত্র বিষয়ক এই বইটি ১৯৭৯ সালে প্রকাশিত হয়। ছবির শুটিং করতে যে’সব অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন, সেগুলোই মানিকবাবু লিখেছেন বইতে।
বিষয় চলচ্চিত্র
১৯৮২ সালের জানুয়ারিতে বইটি প্রকাশিত হয়েছিল। বিষয় চলচ্চিত্র সত্যজিৎ রায় রচিত চলচ্চিত্র বিষয়ক প্রবন্ধের সংকলন। এতে ওঁর চলচ্চিত্র নির্মাণ পদ্ধতি নিয়ে বিস্তর আলোচনা রয়েছে। তাঁর ছবির সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন সত্যজিৎ।
মাই ইয়ার্স উইথ অপু
১৯৯৪ সালে প্রকাশিত এই বইটিকে সত্যজিৎ রায়ের আংশিক আত্মজীবনী হিসেবে ধরা হয়। অপু ট্রিলজি তৈরির সময় ওঁর অভিজ্ঞতা এবং চিন্তাভাবনা নিয়ে গড়ে উঠেছে বইটি।