জেলের ঘানির খাঁটি সর্ষের তেল এবার পৌঁছবে বাঙালির পাকঘরে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ বাজারে খাঁটি সর্ষের তেল পাওয়া বিড়ম্বনার দস্তুর! কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি মা-ঠাকুমাদের আমলের খাঁটি সর্ষের তেল নিয়েই হাজির হচ্ছে বাংলার কারা দপ্তর।
সশ্রম কারাদণ্ডের সাজা প্রাপ্ত আবাসিকরা, জেলের মধ্যে ঘানি টানেন। যা ব্রিটিশ আমলের রেওয়াজ। সেই পরাধীনতার যুগ থেকেই প্রেসিডেন্সি জেলে কাঠের ঘানিতে পিষে সর্ষের তেল বের করার কাজ করছেন বন্দিরা। প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে দৈনিক এক থেকে দেড় টন সর্ষের তেল উৎপাদনের পরিকাঠামো রয়েছে। রাজ্যের দীর্ঘদিনের চেষ্টার পর সম্প্রতি কাচ্চি ঘানি তেলের গন্ধ-ঝাঁজে ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া সবুজ সংকেত দিয়েছে।
কাঠের ঘানির পাশাপাশি আধুনিক যন্ত্রও রাখা হয়েছে, অদ্যাবধি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে ২০টি কাঠের ঘানি চালু রয়েছে। প্রতিদিনই ঘানি থেকে সর্ষের তেল বেরন আবাসিকরা। এই তেল ব্যবসায়িক ভিত্তিতে উৎপন্ন করা হয় না। তাই তেলের গুণমানেই জোর দেওয়া হয়।
প্রেসিডেন্সি ছাড়াও সিউড়ি ও জলপাইগুড়ির সংশোধনাগারে সর্ষের তেল উৎপাদনের পরিকাঠামো রয়েছে। সেখানেও তেল উৎপাদন করা হয়। কারা বিভাগের কর্তাদের দাবি, আবাসিকদের তৈরি সর্ষের তেল একবার যদি কেউ রান্নায় ব্যবহার করেন, তাহলে তারা আর বাজার থেকে অন্য সর্ষের তেল কিনবেন কিনা। বাংলার কারামন্ত্রীর দাবি, খুব শীঘ্রই এই সর্ষের তেল বাজারে পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, সর্ষের তেলে এফএসএসএআইয়ের অনুমোদন পেয়ে গিয়েছে। এবার কীভাবে তা বাজারের বিক্রি করা হবে, তার কাজ চলছে। যেহেতু একেবারে সর্ষের দানা থেকে খাঁটি তেল তৈরি করা হচ্ছে, তাই দাম হয়ত একটু বেশি হবে। এতদিন যাবৎ আবাসিকদের উৎপাদিত তেল, সাধারণত অন্য জেলে সরবারহ করা হত। এবার আম-বাঙালির রসনাতৃপ্তির ঘটাবে খাঁটি তেল।