কৃষি-শিল্পের জোড়া উন্নতিতে বাংলায় বেকারত্বের হার কম, দাবি মমতার
জোড়া বিপর্যয়ের মোকাবিলা করছে রাজ্য। একদিকে করোনার কামড়, তা রুখতে লকডাউন। উপরন্তু আম্পানের ক্ষত। এর মাঝেই বাংলায় ফিলেছেন লক্ষ-লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক। তারপরেও রাজ্যের বেকারত্বের হার দেশের তুলনায় অনেক কম। আগেই পরিসংখ্যান দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার উপান্ন ভবন উদ্বোধন করতে গিয়ে মমতা জানালেন, বাংলায় বেকারত্বের হার কমেছে। কৃষি-শিল্পের একসঙ্গে উন্নতির জেরেই এই লক্ষ্যপূরণ সম্ভব হয়েছে। একইসঙ্গে দেশে বাড়তে থাকা বেকারত্ব নিয়ে কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন কৃষি, কৃষি বিপণন দপ্তর, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, উদ্যানপালন ও মৎস্য দপ্তরের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাজ্যে ফেরা পরিযায়ীদের কর্মসংস্থান নিয়ে আলোচনা হয় বলে সূত্রের খবর। এরপরই উপান্ন ভবন উদ্বোধন করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সংলগ্ন তিনতলা নতুন ভবন এই উপান্ন। এই ভবনেই থাকছে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেল। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন দপ্তর ও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠছে। আর তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে রাজ্যবাসীর একমাত্র ভরসা মুখ্যমন্ত্রী। তাই এবার আলাদা বিল্ডিংয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেল তৈরি হল বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক সেরে সোজা সেই ভবনের উদ্বোধনে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই রাজ্যে বেকারত্বের হার কমার দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, “করোনা আবহ ও লকডাউন চালকালীন দেশে বেকারত্ব বেড়েছে। কিন্তু বাংলায় কমেছে বেকারত্ব। কারণ বাংলা প্রথম থেকেই বেকারত্ব মোকাবিলার একাধিক পরিকল্পনা করেছিল রাজ্য”। ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদেরও কাজ দেওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্ল্যান এ, বি, সি তৈরি রাখা দরকার। এ নিয়েই আজকে বৈঠকে বসেছিলাম আমরা।” একইসঙ্গে তাঁর দাবি, “রাজ্যে কৃষির ও শিল্প-দুইয়েরই উন্নতি করা গিয়েছে, তাই বেকারত্ব অনেকটাই কমেছে রাজ্যে।”