ভীম নাগের দোকানের বাংলা ডায়েলের ঘড়ির গল্প জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কলকাতার অন্যতম সেরা তথা শতাব্দী প্রাচীন মিষ্টি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হল ভীম চন্দ্র নাগ। হুগলির পরাণ নাগ ছেলে ভীম নাগকে অমর করেছে লেডিকেনি। বিশ শতকের কলকাতায় সন্দেশ তৈরিতে ভীম নাগের বেশ সুনাম ছিল। আজও সেই সুনাম অক্ষত, বাংলার বাঘ আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মুঠো মুঠো সন্দেশ মুখে পুরতেন। আশুতোষের প্রিয় সন্দেশপীঠ ছিল ভীম নাগের দোকান। লেডি ক্যানিংয়ের মিষ্টি বানানো ভীম নাগরা আশুতোষের নামেও একখানা সন্দেশ বানিয়েছিল। নাম রাখা হয়েছিল আশুভোগ। রানি রাসমণি থেকে রামকৃষ্ণ, ভবতারিণী কালী থেকে চাঁপাতলার মা শীতলা, ভীম নাগের সন্দেশ সকলের মন জয় করেছিল।
সুস্বাদু মিষ্টি ছাড়াও ভীম নাগের আরেকটি ঐতিহ্য হল তাদের দোকানের বাংলা ডায়েলের ঘড়ি। প্রচলিত গল্প অনুযায়ী, বিখ্যাত ঘড়ি নির্মাতা সংস্থা কুক অ্যান্ড কেলভির মালিক চার্লস কেলভি একবার ভীম নাগের দোকানের মিষ্টি খেয়ে মোহিত হয়ে গিয়েছিলেন। মিষ্টি খেয়ে দিলখুশ হয়ে যাওয়া কেলভি বলেন, দোকানের জন্যে তার কোম্পানির একটি ঘড়ি তিনি ভীম নাগকে দিতে চান। কিন্তু দোকানের কর্মচারীরা কেউই ইংরাজি পড়তে পারে না। ইংল্যান্ড থেকে বাংলা হরফের ডায়েল ঘড়ি তৈরি করিয়ে নিয়ে আসেন সাহেব। বাংলায় লেখা কুক অ্যান্ড কেলভি লেখা বিখ্যাত ঘড়িটি আজও শোভা পাচ্ছে ভীম নাগের দোকানে।
ভাষ্য পাঠ: মধুরিমা রায়
সম্পাদনা: মোঃ রবিউল ইসলাম
তথ্য গবেষণা: সৌভিক রাজ