চটি-জুতোতে এবার থেকে আইএসআই ছাপ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে জুতোর গুরুত্ব কতটা? অস্থি বিশেষজ্ঞদের মতে, জুতোর গঠন ও গুণমান শরীরে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে। পায়ের পাতার গঠনের সঙ্গে জুতোর নকশা না মিললে যন্ত্রণা বা অস্বস্তিভাব হতে বাধ্য। যাঁদের পায়ের পাতা অনেকটা ফ্ল্যাট বা সমান, তাঁরা যে কোনও জুতো পরতে পারেন না। পায়ের হাড় বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, সঠিক জুতো না হলে তাঁদের সমস্যা কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে। ‘হিল’ দেওয়া জুতোও একটা বড় সমস্যা। তা শরীরের ভারসাম্য নষ্ট করে। পা মচকে পড়ে গেলে দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা হয়। গোড়ালি বা মাংসপেশির ব্যাথা তো আছেই। জুতো ছোট বা বড় হলে, তাকে জোর করে পায়ের সঙ্গে মানানসই করার চেষ্টায় থাকেন বহু মানুষ। এতে সমস্যা আরও বাড়ে। নিউরোপ্যাথির সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের পায়ের জ্বালা অতি কষ্টকর। খারাপ জুতো তাঁদের সেই সমস্যা বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। চামড়া, রবার বা প্লাস্টিক, যা-ই হোক না কেন, জুতোর কাঁচামাল খারাপ হলে তা পায়ের ক্ষতি করবেই।
বাজারে তো হরেক রকমের জুতো। সেগুলির গুণগত মান কি আদৌ ভালো? এই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে এবার জুতো সংস্থাগুলির গুণমান ঠিক রাখতে তাদের ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস বা বিআইএসের আওতায় রেজিস্ট্রেশন করাতে হবে। সেই মতো আইএসআই ছাপ দিতে হবে সব ধরনের জুতোয়। আগামী ১ জুলাই থেকে এই নিয়ম দেশজুড়ে চালু হওয়ার কথা।
তবে শিল্পমহল বিষয়টি চালুর জন্য কেন্দ্রের কাছে আরও সময় চেয়েছে। সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানিয়েছে কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স। তাদের বক্তব্য, সব ধরনের জুতোর গুণমান পরীক্ষা করার জন্য পর্যাপ্ত টেস্টিং সেন্টার নেই।