কাটমানির অভিযোগের ৯৩ শতাংশ নিষ্পত্তি হয়েছে, দাবি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
কাটমানি নিয়ে রাজ্যজুড়ে অভিযোগ আসতে শুরু করার পর পরই নবান্নে দাঁড়িয়ে ‘গ্রিভান্স সেল’ তৈরি করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Bannerjee)। এক বছরে সাত লক্ষ ৮৯ হাজার অভিযোগ জমা পড়েছে সেই সেলে। যে অভিযোগ বা দাবি–দাওয়ার ৯৩ শতাংশের নিষ্পত্তি করে ফেলেছেন বলে বুধবার নিজেই তথ্য দিয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Bannerjee)।।
নবান্নের মতোই এদিন রাজ্য প্রশাসনের মুকুটে আরও একটি পালক জুড়ল। তার নাম ‘উপান্ন’। রাজ্য প্রশাসনের অনেক কাজই পরিচালনা হবে এখান থেকে। মুখ্যসচিব বসবেন। পুলিশের একটা কন্ট্রোল রুম হবে। সেসব তথ্য দেওয়ার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Bannerjee)। বলেন, “সাত লক্ষ ৮৯ হাজার অভিযোগের মধ্যে ৫৪ হাজার বাকি রেখে বাদবাকি সব সমস্যার আমরা সমাধান করে দিয়েছি।” তাঁর কথায়, “এটা বড় পাওনা। মানুষ কিছু দাবি করার পর যদি সে কাজটা পায়, তার থেকে বড় সন্তুষ্টি আর নেই। বাদবাকি যা আছে আমার দপ্তরকে বলব সেগুলোকেও নানাভাবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে সমাধান করে ফেলতে। তাতে মানুষ জানবে যে, তাঁদের দাবিদাওয়া বা অভিযোগ জানানোর একটা জায়গা আছে। আর তার সমাধানও হয়।” কাটমানি নিয়ে একটা সময় একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল রাজ্যে। তার প্রেক্ষিতেই এই গ্রিভান্স সেল তৈরি করে দেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Bannerjee)।
অন্যদিকে, তৃণমূল দলের তরফে কাজ শুরু করে ‘দিদিকে বলো’–র মতো মানুষের অভিযোগ শোনার কর্মসূচি। এক বছরের মাথায় যে সেলের সাফল্য নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। বললেন, শর্ট টার্ম, মিড টার্ম আর লং টার্ম এমন পরিকল্পনা করেই কাজ করতে হয়। তবেই সাফল্য আসে।
একটা সময় নবান্নের বাড়িটিতে হাওড়ার মঙ্গলাহাটের উঠে আসার কথা ছিল। পরে তাকে রাজ্য সরকারের সচিবালয় করে গড়ে তোলা হয়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এক সময় আমাদের নবান্ন সভাঘর ছিল না। কিন্তু এখন বড় বৈঠক করতে আমাদের বাইরে যেতে হয় না। নবান্ন নিজের মতো সেজে উঠছে। তার পাশেই তৈরি হল উপান্ন।” এ জন্য পূর্ত দফতর ও পুলিশকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।