চিকিৎসাক্ষেত্রে অনন্য নজির বাংলার, দেশের বৃহত্তম স্ট্রোক ইউনিট গড়ল SSKM
এখন বাঙ্গুরের নিউরোমেডিসিন বিভাগে মোট শয্যা রয়েছে ১৮০টি।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চিকিৎসাক্ষেত্রে অনন্য নজির গড়ল বাংলা। পিজি হাসপাতালের অধীনস্থ দুই হাসপাতাল ভবানীপুরের রামরিকদাস হরলালকা ও কলকাতা পুলিশ হাসপাতালে ৫৯ বেড নিয়ে চালু হল দেশের সর্ববৃহৎ স্ট্রোক চিকিৎসা কেন্দ্র। বাঙ্গুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেসের চিকিৎসকদের দাবি, দেশের আর কোনও সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে এমন স্ট্রোক ইউনিট নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, নিউরো ইমার্জেন্সিতে যত রোগী আসেন, তাদের কমপক্ষে ৮০ শতাংশই স্ট্রোক রোগী।
আশঙ্কাজনক স্ট্রোক রোগীদের জন্য রামরিকদাস হরলালকা হাসপাতালের ৬ তলায় তৈরি হয়েছে হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট। বাঙ্গুরের চিকিৎসকরা যার নাম দেওয়া হয়েছে হাইপার অ্যাকিউট স্ট্রোক ইউনিট। অন্যদিকে, পুলিশ হাসপাতালের তিনতলায় ৪০ বেডের স্ট্রোক ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। রামরিকদাস হরলালকা হাসপাতালে রোগীর স্ট্রোক হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা হচ্ছে। ১৯ বেডের এইচডিইউটিতে স্ট্রোকের পর টানা তিনদিন রোগীর যাবতীয় চিকিৎসা করা হচ্ছে। তারপর রোগী কিছুটা সুস্থ হলে, তাকে পুলিশ হাসপাতালের স্ট্রোক ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এখন বাঙ্গুরের নিউরোমেডিসিন বিভাগে মোট শয্যা রয়েছে ১৮০টি। যার এক তৃতীয়াংশ শয্যা স্ট্রোকের রোগীদের জন্য বরাদ্দ করা হল। পিজির নিউরোমেডিসিনের অধ্যাপক ডাঃ বিমানকান্তি রায়ের মতে, স্ট্রোকের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ হল, সময়ে চিকিৎসা। ‘গোল্ডেন আওয়ার’-এর মধ্যে স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীকে দ্রুত চিকিৎসা দিতেই এই ইউনিট চালু করা হয়েছে।