বিদ্যাসাগর সেতুর ১৬টি Holding cable বদলাতে চলেছে HRBC

উল্লেখ্য, ব্রিজটিতে আরও ১৫২ টি কেবেল রয়েছে। সেগুলোকে স্টে ক্যাবল বলা হয়, যা বাইরে থেকে দেখা যায়। নদীর তলদেশে থেকে পিলারের সাহায্যে তারের মাধ্যমে ব্রিজটি দাঁড়িয়ে রয়েছে।

May 15, 2023 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi
বিদ্যাসাগর সেতু, ছবি সৌজন্যে-kolkatatourism

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বিদ্যাসাগর সেতু ষোলোটি কেবেল প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, বিদ্যাসাগর সেতু হল ভারতের দীর্ঘতম কেবেল ব্রিজ। এর দৈর্ঘ্য ৮২৩ মিটার। এই ষোলোটি কেবেলই মূলত পাশ থেকে সেতুর কাঠামো ধরে রাখে। এগুলো বাইরে থেকে দেখা যায় না। এইচআরবিসি ব্রিজটির তত্ত্বাবধায়ক। ১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর ব্রিজটির উদ্বোধন করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ব্রিজটিতে আরও ১৫২ টি কেবেল রয়েছে। সেগুলোকে স্টে ক্যাবল বলা হয়, যা বাইরে থেকে দেখা যায়। নদীর তলদেশে থেকে পিলারের সাহায্যে তারের মাধ্যমে ব্রিজটি দাঁড়িয়ে রয়েছে।

এইচআরবিসির প্রকৌশলীরা বলেছেন, ষোলোটি হোল্ডিং তারের দুটি পিলারের নীচে রয়েছে যা ব্রিজের পুরো কাঠামোর টান ধরে রাখে। দুটি কোম্পানি, ফ্রিম্যান ফক্স অ্যান্ড পার্টনার্স এবং ভারত ভারী উদ্যোগ নিগম লিমিটেড, ব্রিজটি নির্মাণ করেছিলেন।

একটি ফরাসি সংস্থার পরিদর্শনের পর ব্রিজের তারগুলো বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সেতুর উপর দিয়ে দিনে গড়ে প্রায় ৯০,০০০ যানবাহন চলাচল করে। তাই যান চলাচল অব্যাহত রেখেই প্রতিস্থাপনের কাজ করার কথা ভাবা হচ্ছে। ভিত্তির কাজ শেষ হওয়ার পর জুলাই মাসে কেবেলগুলি প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হবে। নতুন তারগুলি জার্মানি থেকে আমদানি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রযুক্তিবিদরা জানিয়েছেন, প্রতিটি তারের তিনটি স্তর রয়েছে। অভ্যন্তরীণস্তরটি একগুচ্ছ নন-গ্যালভানাইজড কেবেল দিয়ে তৈরি এবং বাইরেরস্তরটি রাবার দিয়ে তৈরি। মোমের তৈরি একটি মধ্যবর্তী স্তর রয়েছে, যা ক্ষয় রোধ করে। তৈরি হওয়ার পর এই প্রথম হোল্ডিং ডাউন তারগুলি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এইচআরবিসি ১৫২টি স্টে তারের মধ্যে ১৪টি তার প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen