দেখা নেই এক কোটি চাকরির, রোজগার মেলার নামে নিজের ঢাক পেটাচ্ছেন মোদী?

বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি সরকারি রিপোর্টে ভুল? মোদীর দাবি আর কেন্দ্র সরকারের তথ্যে অসঙ্গতি কেন?

May 17, 2023 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তথ্য পরিসংখ্যানের তোয়াক্কা না করে বারবার প্রচার আর মেকি সাফল্যের দাবি জনতার সমানে তুলে ধরেছেন মোদী। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী কেবল নিজের ঢাক পিটিয়ে চলেন। তাঁর রাজনীতি প্রচার সর্বস্ব। সম্প্রতি নীতি আয়োগ জানিয়েছিল, মোদী আমলে ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছে গিয়েছে বেকারত্বের হার। কিন্তু খোদ নীতি আয়োগের রিপোর্টেই উড়িয়ে দিলেন মোদী। গতকাল মোদী দাবি করে বসলেন, ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকে গত নয় বছরে চাকরি দেওয়া ও কর্মসংস্থানে রেকর্ড গড়েছে ভারত। বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি সরকারি রিপোর্টে ভুল? মোদীর দাবি আর কেন্দ্র সরকারের তথ্যে অসঙ্গতি কেন?

গত বছর জুন মাসে মোদী দাবি করেছিলেন, দেড় বছরের মধ্যে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি হবে। ১১ মাস কেটে যাওয়ার পরও আড়াই লক্ষের বেশি চাকরি দিতে পারেনি। বাস্তব ছবি আড়াল করতে, রোজগার মেলার কর্মসূচি নিয়েছে মোদী সরকার। চাকরির পরীক্ষায় পাশ করা প্রার্থীদের অনলাইনে নিয়োগপত্র বিলি করতে মোদী সরকার। প্রচার করা হচ্ছে, মোদী নিজেই চাকরি দিচ্ছেন। মঙ্গলবার এমনই ৭১ হাজার প্রার্থীকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নিয়োগপত্র দিয়েছেন মোদী। বাংলার মাত্র ২৭৫ জন নিয়োগ পেয়েছেন। সব মিলিয়ে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু মোদী দাবি করেছেন, স্বাধীনতার পর এমন কর্মসংস্থান আর হয়নি। আদপে দেড় বছরে গ্রামীণ বেকারত্ব প্রতি মাসে লাফিয়ে বেড়েছে। গত অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে পাহাড়প্রমাণ চাহিদা মেটাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত ৯৯ হাজার কোটি টাকা করতে হয়েছে। শহরের বেকারত্বও গগনচুম্বী। সেইসবের তোয়াক্কা না করে, মোদী প্রচার করছেন। দেশ ধুঁকছে বেকারত্বে, নিয়োগের ঢাক পিটছেন তিনি।

রেলওয়ে থেকে এসএসসি, পরীক্ষা থেকে ইন্টারভিউ তদুপরি চাকরি পাওয়া অবধি সময়ের ব্যবধান বেড়েছে। চাকরি মিললেও নিয়োগপত্র হাতে পৌঁছতে এতই সময় লাগছে যে, আন্দোলনে নেমে পড়ছেন কর্মপ্রার্থীরা। নয়া ভারতের রূপকার হিসেবে নিজেই নিজেকে দাবি করছেন মোদী। কিন্তু পরিসংখ্যানে মুখ পুড়ছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen