তারের জালে ঢেকেছে শহর, কী করছে প্রশাসন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তিলোত্তমা নগরীতে বাতিস্তম্ভে তারের জাল বেড়েই চলেছে। শহর শহরের অলিগলিতে কোথাও কেব্ল অপারেটরের তার, কোনওটা টিভি-টেলিফোনের তার, কোনওটা আবার বৈদ্যুতিক তার।
শহর কলকাতার অলিগলি তো ছাড়, খোদ ধর্মতলা, হেয়ার স্ট্রিট, মহাত্মা গান্ধী রোড, বিবাদী বাগের মতো এলাকায় সব সময়ে আগুন লাগার আশঙ্কায় ভুগছেন এলাকাবাসীরা। প্রসঙ্গত, এর আগে ঘন তার থাকার ফলে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগা নেভাতে পোস্তা ও আহিরীটোলা সহ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় বেগ পেতে হয় দমকলকে।
গড়িয়াহাট, শিয়ালদাহ, ডালহৌসি এলাকার গভর্নমেন্ট প্লেস (ইস্ট)-এ রাস্তার পাশে মাকড়শার জ্বালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কেবল, ইন্টারনেটের তার। কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটে রাস্তার উপরে এপার থেকে ওপারে চলে গিয়েছে তারের কুণ্ডলী। কোথাও বা বাতিস্তম্ভের মাথা থেকে মাটি পর্যন্ত ঝুলছে তারের জঞ্জাল। এতে শুধু শহরের সৌন্দর্যই নষ্ট হচ্ছে না, বাড়ছে নানান আশঙ্কাও। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় যেকোনও মুহুর্তে ঘটতে পারে বিপদ।
শুধু বৈদ্যুতিক স্তম্ভ না, কেব্ল অপারেটরদের তারের জটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বড় গাছ। সেই সঙ্গে শহরে বেড়ে চলেছে দৃশ্য-দূষণ। বৈদ্যুতিক স্তম্ভে তার জড়ানো নিষেধ তাও কমছে না বৈদ্যুতিক স্তম্ভে তার লাগিয়ে ব্যবসায়িক কারবার। এতকিছু সত্ত্বেও কিভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন সংস্থা? কেন দৃঢ় পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বিভিন্ন পৌর আধিকারিকরা? আদৌ কী এড়ানো যাবে দৃশ্যদূষন? শহরের স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উঠছে প্রশ্ন। আর তাতেই কপালে ভাঁজ পড়েছেে রাজ্য প্রশাসনের।