গরম বাড়তেই গ্রামে গ্রামে বাড়ছে তালপাতার হাতপাখার চাহিদা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: তালপাতার হাতপাখা ছিল গ্রীষ্মকালের পরম বন্ধু। হালে তা আর তেমন দেখা যায় না। শহর থেকে হাতপাখা প্রায় উবেই গিয়েছে। কিন্তু গ্রামে আজও চল রয়েছে হাতপাখার। আর গরমের দাপট বাড়তেই তালপাতার তৈরি হাতপাখার চাহিদাও বেড়েছে গ্রামে। মন্দা গ্রাস করা তালপাতার হাতপাখা শিল্প এবং ব্যবসায়ীদের ভরসা এখন গ্রাম।
জয়নগর ২ নম্বর ব্লকের চণ্ডীপুর গ্রামকে হাতপাখার গ্রাম বলা যেতে পারে। এই গ্রামের ঘরে ঘরে তালপাতার পাখা তৈরি হয়। গ্রামের পুরুষ, মহিলারা সকাল থেকেই পাখা বানানোর কাজ আরম্ভ করেন। চণ্ডীপুরের পাখাই একদা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে যেত, এমনকি জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেও তা পৌঁছত। শীতের শেষেই ব্যবসায়ীরা পাখা তৈরির কাজ শুরু করতেন।
হাতপাখার প্রধান উপাদান হল তালপাতা। গোটা ব্যাপারটাই হাতে গড়া হয়, ফলে এটি পুরোদস্তুর হস্তশিল্প। আজকের ব্যবসায়ীরা অনেকেই দুই-তিন পুরুষ ধরে হাতপাখা তৈরির কাজ করছেন। তাদের অনেকেরই বক্তব্য, কয়েক বছর আগেও হাতপাখার ব্যবসার অবস্থা ভাল ছিল। কিন্তু করোনার কারণে ব্যবসা ধাক্কা খায়। লকডাউনের পর সবকিছু স্বাভাবিক হলেও হাল ফেরেনি ব্যবসার। চণ্ডীপুরের পাখা নির্মাতারা বলছেন, এক সময় কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পাখা যেত। শহরে বৈদ্যুৎচালিত পাখার বিক্রি যত বাড়ছে, ততই কমছে পাখার চাহিদা। তারা সাফ বলছেন, শহরে পাখা বেচাকেনা হয় না বললেই চলে। তবে গ্রামগঞ্জে এখনও তালপাতার পাখার ভাল চাহিদা রয়েছে। গ্রামের উপর ভরসা করেই সংসার চালানো হয়। এক হাতপাখা বিক্রেতার কথায়, তারা দিনে ১৫০-২০০ টি করে হাতপাখা তৈরি করেন। শহরে বিক্রি কম। তাই এখন উৎপাদন কমেছে। গ্রামগঞ্জে পাইকারি বাজারেও হাতপাখা বিক্রি হয়।