সংক্রমণের রেকর্ড, ৫০ হাজার ছাড়ালো বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা
গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। কলকাতাতেও। সেই সঙ্গে মহানগরীতে মৃতের সংখ্যাও সর্বোচ্চ। — এই ত্রহ্য স্পর্শে বৃহস্পতিবার রাজ্যে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়ে গেল।
এ দিন রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪৩৬ জন। তার জেরে গোটা রাজ্যে এখন মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৫১ হাজার ৭৫৭। তবে বুধবারের থেকে এ দিন সংক্রমণের হার সামান্য বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আরও ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সব মিলিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন ১ হাজার ২৫৫ জন।
গত ৫ দিন ধরে কলকাতায় প্রতি দিন নতুন করে করোনা সংক্রমণের সংখ্যাটা ছশো থেকে সাড়ে ছশোর মধ্যে ঘোরাফেরা করছিল। এ দিন এক ধাক্কায় তা বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯৫ জন। উদ্বেগ বাড়ছে কলকাতায় মৃতের সংখ্যা নিয়েও। রাজ্যে এ দিন যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ১৯ জনই কলকাতার বাসিন্দা।
মহানগরের পাশাপাশি, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, দুই বর্ধমান এবং নদিয়ায় সংক্রমণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমছে না। গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তর ২৪ পরগনায় ৫৪৫, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৭৩, হাও়ড়ায় ৩০৩, হুগলিতে ৮৭, পূর্ব বর্ধমানে ৪৩, পশ্চিম বর্ধমানে ৬৫, মুর্শিদাবাদে ৩১ এবং নদিয়ায় ২৯ জনের নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গের করোনা সংক্রমণের ছবিটা। কোচবিহারে ২০, দার্জিলিঙে ৬৫, জলপাইগুড়িতে ২৪, উত্তর দিনাজপুরে ৫৫, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৩৮, মালদহে ৫৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রতিদিন কত জন রোগীর করোনা টেস্ট করা হচ্ছে এবং তার মধ্যে কত জনের রিপোর্ট পজিটিভ আসছে, সেটাকেই বলা হয় পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত মোট ৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ২৭ জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে এ রাজ্যে। গত ২৪ ঘণ্টায় টেস্টও আরও খানিকটা বেড়েছে। ফলে বেশি সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হওয়ায় সংক্রমণ বেড়েছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এ দিন ১৪ হাজার ৫৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। তার মধ্যে করোনা ধরা পড়েছে ২ হাজার ৪৩৬ জনের যা ১৬.৭৩ শতাংশ। বুধবারের থেকে এ দিন সংক্রমণের হার সামান্য বেশি। ওই দিন ছিল ১৬.৩২ শতাংশ।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ৩১ হাজার ৬৫৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এর মধ্যে এ দিনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৬ জন। এ দিন সুস্থতার হার আগের থেকে সামান্য বেড়ে হয়েছে ৬০.১৬ শতাংশ।