কলকাতার পড়ুয়াদের বানানো Under Water ড্রোন খুঁজবে প্রাণের অস্তিত্ব
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: এবার ড্রোন চলবে জলের তলায়। কলকাতার ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক ও পড়ুয়ারা মিলে বানিয়েছেন আন্ডার ওয়াটার ড্রোন।
যা নদী, সমুদ্র ও জলাশয়ের গভীরে গিয়ে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে আনবে। নমুনা সংগ্রহ করবে। বিপর্যয়, অপরাধ দমনেও কাজ করতে পারবে ড্রোনটি। ২ জুন কলকাতার ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্টের ক্যাম্পাসে আয়োজিত প্রদর্শনীতে ড্রোনটিকে প্রকাশ্যে আনা হবে। আইইএম-ইউইএম ট্রাস্টের উদ্যোগে শহরের বুকে ড্রোন বিষয়ক সেমিনার এবং প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হতে চলেছে।
বিগত একদশকের মধ্যে ড্রোনের জনপ্রিয়তা আকাশ ছুঁয়েছে। আকাশপথে ছবি তোলা, সিনেমার শ্যুটিং, নজরদারি, সরঞ্জাম সরবরাহ, অতিমারির সময় ওষুধ পৌঁছে দেওয়াসহ নানা কাজে ড্রোন ব্যবহার হচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি সবক্ষেত্রেই ড্রোনের ব্যবহার বেড়েছে। যদিও জলের নীচে ড্রোনের ব্যবহার এখনও খুব একটা শুরু হয়নি। আন্ডার ওয়াটার ড্রোনকে সামনে নিয়ে আসতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আইইএমের চার অধ্যাপক দিবাকর রায়চৌধুরী, অমর্ত্য মুখোপাধ্যায়, অয়ন পাঁজা এবং সৌহৃদ্য ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে পড়ুয়ারা এই নয়া প্রযুক্তির ড্রোন অ্যাসেম্বল করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ কিনে আনা হয়েছে। ড্রোন সফলভাবে কাজ করছে। অধ্যাপক ও পড়ুয়ারা তাতে অত্যন্ত খুশি।
অধ্যাপক দিবাকর রায়চৌধুরীর মতে, জলের নীচে প্রাণের অস্তিত্বের অনুসন্ধান ও জীব গবেষণায় এই আন্ডার ওয়াটার ড্রোন ব্যবহার করা যেতে পারে। ফোর-কে এবং এইচডি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে এই ড্রোনে। এর সাহায্যে নমুনাও সংগ্রহ করা যাবে। পরীক্ষামূলকভাবে জলের তলায় এই ড্রোন ব্যবহারে সাফল্য এসেছে। এছাড়াও বিপর্যয়ের সময় বা জলের নীচে মানুষ তলিয়ে গেলে দ্রুত উদ্ধারে ড্রোন ব্যবহার করা যেতে পারে। জলের তলায় কিছু লুকিয়ে রাখা হলে তা সহজেই খুঁজে দেবে ড্রোন, ফলে তদন্তে পুলিশ ড্রোন ব্যবহার করতে পারবে।