কুস্তিগিরদের অবমাননায় ক্ষুব্ধ জোটসঙ্গী, কোন পথে হরিয়ানার ডবল ইঞ্জিন সরকার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একদিকে নয়া সংসদভবনের উদ্বোধন করছেন মোদী, অন্যদিকে দিল্লির রাজপথে দেশের হয়ে পদকজয়ীরা ভূলুন্ঠিত হচ্ছেন। পুলিশ তাদের টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে, এহেন দৃশ্য দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে আম জনতা। ভারতের কুস্তির প্রধান পীঠস্থান হল হরিয়ানা, সেখানেও মানুষ রীতিমতো ফুঁসছেন।
খাপ পঞ্চায়েত থেকে আরম্ভ করে দেশের কৃষক সংগঠন, সকলেই কুস্তিগিরদের পাশে। হরিয়ানায় বিজেপির জোট সঙ্গীও আন্দোলনকারীদের পক্ষে। উল্লেখ্য, হরিয়ানায় দুষ্যন্ত চৌতালার দল বিজেপি সরকারের জোট শরিক। শরিক দলের পাশাপাশি, গেরুয়া বিধায়করাও বেশ বেসুরো। বছর ঘুরলেই হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচন, কিন্তু তার আগে জোট সরকারের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ের মেঘ ঘনাচ্ছে। কুস্তিগিরদের সঙ্গে দিল্লি পুলিশ তথা মোদী সরকারের, এহেন অমানবিক আচরণে হরিয়ানা বিজেপির অন্দরেই ক্ষোভের আগুন। সে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী রণজিৎ সিং, বিজেপি নেতা বীরেন্দ্র সিং, বিজেন্দ্র সিংসহ একাধিক দলীয় ও নির্দল বিধায়ক কুস্তিগিরদের অভিযোগ অনুযায়ী দোষীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার দাবি জানাচ্ছেন। তারাও বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণের গ্রেপ্তারি চান। দলের অন্দরে এবং শরিকদের মধ্যে এহেন বিদ্রোহে অস্বস্তিতে বিজেপি।
হরিয়ানার রাজনীতিতে নিয়ন্ত্রক ভূমিকা পালন করে খাপ পঞ্চায়েতগুলি। এদের রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তর। খাপ পঞ্চায়েতের ফতোয়া বা নির্দেশের ভিত্তিতেই বহু গ্রামে ভোট হয়, ভোট দানের সিদ্ধান্ত নেয় জনসাধারণ। কৃষকদের শক্তি বেশ বুঝেছে গেরুয়া নেতারা। এবার গোদের উপর বিষফোঁড়া দলের বিদ্রোহীরা। হরিয়ানাজুড়ে ক্ষোভের আঁচ পেয়ে জেলায় জেলায় ছুটছেন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার।
প্রসঙ্গত, যন্তরমন্তর সংলগ্ন সংসদ মার্গে রবিবার অভিযুক্ত বিজেপি এমপির গ্রেপ্তারির দাবিতে পদযাত্রা করতে চেয়েছিলেন কুস্তিগিররা। এক কিমি দূরে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন করছিলেন প্রধানমন্ত্রী, সেই সময় দিল্লি পুলিশ রাস্তায় ফেলে পেটাচ্ছিল মহিলা কুস্তিগিরদের। এই ঘটনার ঘটনাক্রমিক প্রেক্ষিতে, বিজেপির সঙ্গী দুষ্যন্ত চৌতালার দলের একাধিক বিধায়ক প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, আগামী ভোটে তারা বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বেন কি না, তা নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে।