এবার পদক ফেরানোর হুঁশিয়ারি মীরাবাই চানু-সহ মণিপুরের ১১জন খেলোয়াড়ের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কুস্তিগিরদের পথেই এবার পদক ফেরানোর হুঁশিয়ারি মীরাবাই চানু-সহ মণিপুরের ১১জন খেলোয়াড়ের
রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ নিয়ে কয়েক মাস ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সাক্ষী মালিক, বজরং পুনিয়া, ভিনেশ ফোগাটদের মতো অলিম্পিকে পদকজয়ী কুস্তিগিররা। রবিবার রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়েছিল তাঁদের। মঙ্গলবার সেই আন্দোলনরত কুস্তিগিররা আরও হরিদ্বারের গঙ্গার ঘাটে তাঁদের পাওয়া সমস্ত পদক ভাসিয়ে দিতে গিয়েছেন।
এবার মণিপুরের হিংসা নিয়ে সরব হলেন অলিম্পিক পদকজয়ী মীরাবাই চানু-সহ ১১জন খেলোয়াড়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখেছেন তাঁরা। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মণিপুরে শান্তি ফেরানোর আরজি জানিয়ে আট দফা দাবিতে চিঠি লিখেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে সমস্ত পুরস্কার ও পদক ফিরিয়ে দেওয়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন ক্রীড়াবিদরা।
২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকে ভারোত্তোলনে রুপো জিতেছিলেন মণিপুরের মীরাবাই চানু। তাঁর নেতৃত্বেই সেরাজ্যের ১১জন ক্রীড়াবিদ চিঠি লিখেছেন অমিত শাহকে। এই তালিকায় রয়েছেন, পদ্ম সম্মানজয়ী ভারোত্তোলক কুঞ্জরানি দেবী, ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক বেম বেম দেবী, বক্সার সরিতা দেবীরাও।
প্রায় এক মাস ধরে বিভিন্ন কারণে মণিপুর রাজ্যে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। দীর্ঘদিন ধরে মণিপুরের সমতলের বাসিন্দা মেইতেই সম্প্রদায়ের সঙ্গে কুকি এবং নাগা জনগোষ্ঠীর নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠীর বিরোধ চলছে। মেইতেই সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি তফসিলি উপজাতিদের তালিকাভুক্ত হওয়া। সম্প্রতি হাইকোর্ট মেইতেই সম্প্রদায়কে তফসিলি উপজাতিভুক্তদের তালিকায় আনা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন। এরপরই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য।