বদলে যাচ্ছে ট্রেনের টিকিটও, কোড স্ক্যান করেই পরীক্ষা করবেন টিটিইরা
করোনা আবহে আমূল বদলে যাচ্ছে রেলের টিকিটও। টিকিট পরীক্ষার ক্ষেত্রে সরাসরি সংস্পর্শ এড়ানোর জন্য দেওয়া হবে কিউআর (কুইক রেসপন্স) কোড যুক্ত ট্রেন টিকিট। এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল বোর্ড। তারা জানিয়েছে, বুকিংয়ের পরই সংশ্লিষ্ট যাত্রীর নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরে এসএমএসের মাধ্যমে কিউআর কোডের লিঙ্ক চলে আসবে। তাতে ক্লিক করেই দেখাতে হবে টিকিট। কোড স্ক্যান করেই টিকিট পরীক্ষা করবেন টিটিইরা। সম্প্রতি ট্রেন যাত্রায় সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য ট্রেনের কোচ সম্পূর্ণ বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। এবার ডিজিটাল কর্মসূচির হাত ধরে টিকিট চেকিংয়ের ব্যবস্থাকেই আরও আধুনিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেলমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকেরা।
কীভাবে কাজ করবে এই বিশেষ ব্যবস্থা? রেল জানিয়েছে, যাঁরা ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট কাটবেন, তাঁরা তো বটেই, এমনকী যেসমস্ত যাত্রী স্টেশনের পিআরএস (প্যাসেঞ্জার রিজার্ভেশন সিস্টেম) কাউন্টার থেকে টিকিট কাটবেন, তাঁদেরও কিউআর কোড সমেত টিকিট দেওয়া হবে। টিকিট বুকিংয়ের সময় যাত্রী যে মোবাইল নম্বর দেবেন, বুকিং স্টাফ সেই নম্বরেই কিউআর কোডের লিঙ্ক পাঠিয়ে দেবেন এসএমএস করে। সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে তা সেভ করে রাখতে হবে। এবার চেকিংয়ের সময় যাত্রী ওই লিঙ্কে ক্লিক করলেই মোবাইল স্ক্রিনে কিউআর কোডটি চলে আসবে। সঙ্গে থাকা ট্যাব বা মোবাইলের মাধ্যমে কিউআর কোডটি স্ক্যান করবেন টিটিই। আর তাতেই সংশ্লিষ্ট যাত্রী সম্পর্কে বিশদ তথ্য পেয়ে যাবেন টিকিট পরীক্ষক।
তবে যাঁরা পিআরএস কাউন্টার থেকে টিকিট কাটবেন, তাঁরা বরাবরের মতোই একটি ‘ফিজিক্যাল টিকিট’ও পাবেন। রেল জানিয়েছে, স্টেশনে ঢোকার সময় যদি টিকিট চেকিং হয়, তাহলে একইভাবে দেখাতে হবে কিউআর কোড। সেক্ষেত্রে ওই যাত্রীর যাবতীয় তথ্য আগেই নির্দিষ্ট ট্রেনের টিকিট চেকিং স্টাফের কাছে পৌঁছে যাবে অনলাইন ব্যবস্থার মাধ্যমে। রেল বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতিতে প্রায় ৮৫ শতাংশ যাত্রীই অনলাইনে টিকিট কাটছেন। তাছাড়া এই কিউআর কোডের সঙ্গে যেহেতু স্মার্ট ফোনের কোনও সম্পর্ক নেই, তাই কোনও যাত্রীরই সমস্যা হবে না। যদিও প্ল্যাটফর্ম টিকিটের ক্ষেত্রে কী করা হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।