পেটপুজো বিভাগে ফিরে যান

বদলে যাচ্ছে আবহাওয়া। কি খাওয়া যায় এখন

February 2, 2020 | 3 min read


আবহাওয়া বদলানোর সময়ে শরীরে নানা রকম ভাইরাসের আনাগোনা শুরু হয়। পক্স, জ্বর, সর্দি লেগেই থাকে। এই সময়ে বাঁচার রাস্তা নিজের শরীরের অনাক্রমতা বলকে বলিষ্ঠ করে তোলা। এই বল ঠিক রাখতে মানতে হবে কিছু সামান্য ডায়েট। 

দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ দূর করতে আদার জুড়ি নেই

আদাঃ দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ দূর করতে আদার জুড়ি নেই। নাক, গলা, চোখ জ্বালা করলে কিংবা ফুলে গেলে আদা খেলে খুব উপকার পাওয়া যায়। সর্দি, কাশিতে এক কাপ জলে আদা ফুটিয়ে মধু দিয়ে খেলেও আরাম হয়। তাই রোজকার ডায়েটে আদা অবশ্যই রাখা উচিত।

সর্দি, কাশি প্রতিরোধে ভিটামিন সি অত্যন্ত উপকারী

ভিটামিন সিঃ মরশুম বদলের সময় সর্দি, কাশি প্রতিরোধে ভিটামিন সি অত্যন্ত উপকারী। কমলালেবু, পাতিলেবু, আঙুর, পেঁপে, পেয়ারা, আনারস সহ সব রকমের উচ্চ-মাত্রার ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান বেশি করে। এছাড়াও সবুজ পাতা গোত্রের সবজি ও শাকেও পাওয়া যায় এই ভিটামিন। এছাড়া কিছু মশলা জাতীয় উদ্ভিদ যেমন, কাঁচা মরিচ, পুদিনাপাতা, পার্সলেপাতা ভিটামিন সি-র ভালো উৎস। সর্দি ছাড়াও এলার্জিতেও মিলবে উপকার। 

শুধু রান্নাতেই নয় প্রতিদিন স্যালাড হিসাবেও টমেটো খাওয়া উচিত

টমেটোঃ টমেটোতে যথেষ্ট পরিমাণে আছে লাইকোপিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি। মরসুম বদলের বিভিন্ন অসুখ থেকে বাঁচতে শুধু রান্নাতেই নয় প্রতিদিন স্যালাড হিসাবেও টমেটো খাওয়া উচিত।

হলুদ একটি শক্তিশালী আ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ছবি সৌজন্যেঃ medicalnewstoday

হলুদঃ হলুদ একটি শক্তিশালী আ্যান্টিঅক্সিডেন্ট । হলুদের মধ্যে করকুমিন নামে এক ধরনের আান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান থাকে। রান্নায় ব্যবহার ছাড়াও দুধে মিশিয়ে কিংবা হলুদ ও গোলমরিচ দিয়ে ভেষজ চা করেও খাওয়া যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদে থাকা কারকুমিন নিজে থেকে শরীরে মিশে যেতে পারে না। সেক্ষেত্রে গোল মরিচের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়। গোলমরিচ ও হলুদ একসঙ্গে খেলে তা শরীরে পেইন কিলার হিসাবেও কাজ করে এবং ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে।

পেঁয়াজ-রসুনে আছে আ্ন্টি-ইমফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান

পেঁয়াজ-রসুনঃ আ্ন্টি-ইমফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ঋতু পরিবর্তনের সময় সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড- মাছের তেলে উপস্থিত ওমেগা থি ফ্যাটি অ্যাসিড অ্যালার্জি প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়। এছাড়া অ্যাজমার সমস্যা ও মরশুমী অ্যালার্জি কমাতে সাহায্য করে।

বছরের যে কোনও সময়েই মরশুমী ফল ও সবজি খাওয়া উচিত

মরশুমী ফল-সবজিঃ বছরের যে কোনও সময়েই মরশুমী ফল ও সবজি খাওয়া উচিত। শীতের শেষের দিকে বা বসন্তকালে বিভিন্ন ধরনের মরশুমী সবজি পাওয়া যায়। যেমন বেগুন, পালং শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর, মুলো, কড়াইশুটি, ক্যাপসিকাম ইত্যাদি এবং আঙুর, পাকা পেঁপে, বেদানা সহ বিভিন্ন ফল। এই ধরনের ফল ও সবজি ফাইবারের খুব ভাল উৎস যা কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। পেটের সমস্যাতেও উপকার পাওয়া যায়। ডিহাইড্রেশন রোধ করে। শক্তি জোগায় শরীরে।

এইসব খাবারের আান্টিভাইরাল উপাদান শরীরকে মজবুত রাখে

সজনে ফুল বা তেঁতো খাবারঃ বসন্তের ভাইরাস আটকাতে প্রতি দিন খাবার পাতে রাখুন নিমপাতা, নয়তো সজনেফুল। এইসব খাবারের আান্টিভাইরাল উপাদান শরীরকে মজবুত রাখে ও বাতাসে উড়ে বেড়ানো রোগজীবাণুরর সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে।

জল-জ্বর, সর্দি-কাশির সঙ্গে ডায়েরিয়া, খাদ্যে বিষক্রিয়া ইত্যাদি হলে ফোটানো জল খাওয়া উচিত। এছাড়া এই সময় তাপমাত্রার পরিবর্তন হয় বলে শরীরের তাপমাত্রার ব্যালান্স রাখতে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা উচিত। সেক্ষেত্রে পানীয় জলের মেথি ভেজানো জল খেলেও উপকার পাওয়া যায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Winter Food Habits

আরো দেখুন