মানবিক মহারাজ, করোনা আক্রান্ত পরিবারের পাশে এবার সৌরভ
করোনা পরিস্থিতিতে এর আগেও বারেবারে এগিয়ে এসেছেন। ভারত সেবাশ্রমে গিয়ে ত্রাণ তুলে দেওয়ার পাশাপাশি সম্মান জানিয়েছেন এই শহরের কোভিড যোদ্ধাদের। এবার রাজ্যের করোনা আক্রান্ত এক পরিবারের পাশেও দাঁড়ালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
হুগলির চুঁচুড়ার কদমতলার কনকশালির ঘটনা। রবিবার ভোর রাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান চুঁচুড়ার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের সৌরভ বসু। জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে বাড়িতে ভুগছেন তার স্ত্রী সুস্মিতা বসু। করোনার সব রকম উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও কোভিড পরীক্ষা করে উঠতে পারছিলেন না সুস্মিতা দেবী। বাড়িতেই দুই সন্তানের সঙ্গে কষ্ট পাচ্ছিলেন। দুই সন্তানের শরীরেও করোনার উপসর্গ রয়েছে। পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেও ব্যর্থ হচ্ছিল এই পরিবার। স্বামী সৌরভ বসু মারা যাওয়ায় নিজের ও সন্তানদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন পরিবারটি।
শেষে পারিবারিক বন্ধু শতদ্রু দত্তর শরণাপন্ন হয় চুঁচুড়ার পরিবারটি। শতদ্রুর মাধ্যমে পরিবারটির অসহায়তার ঘটনা পৌঁছে যায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় অবধি। চুঁচুড়ার কদমতলার এই পরিবারের এমন দুরবস্থার কথা শুনে এগিয়ে আসেন বিসিসিআই সভাপতি। নিজের উদ্যোগে ফোন নাম্বার জোগাড় করে যোগাযোগ করেন চুঁচুড়ার এসডিও অরিন্দম বিশ্বাসের সঙ্গে। এরপর নিজের পরিচয় দিয়ে প্রথমে অরিন্দম বাবুকে এসএমএস পাঠান সৌরভ। প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের এসএমএস পেয়ে খানিকটা হতবাক হয়ে যান এসডিও। স্থানীয় এক অসহায় পরিবারের করোনা পরীক্ষার জন্য খোদ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় যোগাযোগ করছেন এটা প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। এরপর ফোন করে পরিবারটির দুরবস্থার কথা জানান সৌরভ। অনুরোধ করেন, পরিবারের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য।
প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের মুখে সবটা শুনে সোমবার সকালেই পুরো পরিবারের করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন অরিন্দম বিশ্বাস। জেলা সূত্রে খবর, শুধুমাত্র এই পরিবারটি নয়, চুঁচুড়ায় উপসর্গ নিয়ে ঘরবন্দী এমন অনেকেই। তিন দিন আগে চুঁচুড়ার সুজন বাগানে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান ৩২ বছরের যুবক সুজয় মজুমদার। সৌরভ বসুর মতো সুজয়ের পরিবারের সদস্যরাও করোনা উপসর্গ নিয়ে ঘরবন্দি।