পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নেই ভারতে, মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়ালেন খোদ দলের সাংসদ
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নেই, দেশজুড়ে চাকরির ঘাটতি রয়েছে। নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য আরও উদ্যোগ নিতে হবে দেশের সরকারকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি মোদী সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এহেন মন্তব্য করে মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়ালে খোদ বিজেপির সাংসদ জয়ন্ত সিনহা। বুধবার, চেম্বার অফ কমার্স আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমনই মন্তব্য করেছে হাজারিবাগের সাংসদ।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, দেশের যুবদের ভাল ও উন্নতমানের কাজে নিযুক্ত করতে সরকারকে দ্রুত কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষেপ করতে হবে। এখন যে হারে কাজ হচ্ছে, তা যথেষ্ট নয়। ১৮-৬৪ বছর বয়সী কোটি কোটি ভারতীয় আছেন, যারা কর্মক্ষম। তাদের কাজ দিতে হবে। আগামী এক দশকের মধ্যে কুড়ি কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে দেশের সরকারকে। তিনি আরও বলেন, গ্রামীণ ভারতেও টায়ার থ্রি, ফোর শহরেও মানুষ ভাল চাকরি বা কাজ চান। কিন্তু আমরা (বিজেপি সরকার) তাদের ভাল মানের কাজের সুযোগ দিতে পারছি না।
তাঁর মতে, কৃষি থেকে কারখানা, নগরায়ণ ও শিল্পায়নকে যা ঘিরে রয়েছে; কর্মসংস্থানের এই বিশেষ মডেলটি শিল্পবিপ্লবের সময় থেকে ফলপ্রসু হয়ে আসছে। যুক্তরাজ্য থেকে চীন, সকলেই উপকৃত হয়েছে এই পথ অবলম্বন করে। কিন্তু আগামীতে এই পথে আর ফল আসবে না। ভারতে নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রেক্ষিত বিচার করে কর্মসংস্থানের পথ খুঁজতে হবে। ভারতকে টিকে থাকতে হলে, আর্থিকনীতিতে দ্রুত বদল আনতে হবে। বিপুল পরিমাণে বিনিয়োগ চাই। ২০৭০ সালের মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তনকে শূন্যে নামিয়ে আনার যে লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে, তাও সম্ভব হবে না আর্থিকনীতির বদল ছাড়া। কর্পোরেট জগতকেও এগিয়ে আসতে হবে এই কাজে। এখন দেশের প্রায় পাঁচশো প্রথম সারির কোম্পানি, দেশে ৬,৫০০-৭,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে কিন্তু বিনিয়োগের পরিমাণ দ্রুত দ্বিগুণ। তবেই পরিস্থিতির বদল সম্ভব।