জীবনশৈলী বিভাগে ফিরে যান

গরম বাড়লেই বাই বাই করোনা

February 3, 2020 | 2 min read

অসাবধানতাবশত ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা ভাইরাস

করোনা ভাইরাস হল ভিরিডি ফ্যামিলির অন্তর্গত একটি গ্রুপ অব ভাইরাস। করোনা অনেকটা ঠান্ডা জ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো। মাইক্রোস্কোপে এই ভাইরাস ক্রাউন বা মুকুটের মতো দেখায়। সেখান থেকেই এই ভাইরাসের নাম করোনা। জিনগত বা মিউটেশনের ফলে নাম হয়েছে, নোভেল করোনা ভাইরাস।

এই ভাইরাস সাধারণত মানুষ থেকে মানুষে কাশি, হাঁচির মাধ্যমে বাতাসে ভেসে ছড়িয়ে পড়ে। সেখান থেকে মানুষের নাসারন্ধ্র বা মুখের মাধ্যমে গলার ভিতর ‘আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাক্ট’-এ বাসা বাঁধতে শুরু করে। তখন সর্দি, কাশি, গলা জ্বালা, জ্বর হয়। দেখে মনে হয় সাধারণ ঠান্ডা লেগেছে। পরে লোয়ার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে নামলে জটিল আকার নেয় ও নিউমোনিয়া তৈরী করে। এছাড়াও শরীরের অন্যান্য অঙ্গকেও আক্রান্ত করে করোনা ভাইরাস। তাই চিন্তা বেশী। এতে মূলত শিকার হয় বাচ্চা ও বয়স্করা। রোগীকে আলাদা রেখে উপসর্গ বিচার করে চিকিৎসা ছাড়া আর উপায় নেই।

বেশীরভাগ ক্ষেত্রে এই ভাইরাস প্রথমে জীবজন্তু এবং পরে পাখিদের মধ্যে দেখা যায়। পরে সেখান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে। গৃহপালিত জন্তু বা পাখির মাধ্যমে প্রথমে বাড়ির সদস্যদের মধ্যে এবং তারপর বৃহত্তর জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। জীবজন্তুদের এই ভাইরাস মানুষের শরীরে একবার ঢুকলে তার জিনগত পরিবর্তন হয়, তখন তারা এক মানুষ থেকে আর এক মানুষে সংক্রমণ ছড়ায়।

জ্বরের জন্য প্যারাসিটেমল, শরীরে যাতে বেশী করে জল যায়, সেজন্য ফলের রস, তরল খাবার, গলায় ইনফেকশন সারাতে প্রয়োজনে অ্যান্টি-বায়োটিক ইত্যাদি। কারণ, অ্যান্টি-ভাইরাল ওষুধ যেমন বাজারে হাতে গোনা, তেমনই অ্যান্টি-বায়োটিকের মতো স্পেসিফিক নয়। ডাক্তার ও নার্সদের হাতে গ্লাভস, মাস্ক, ফুল অ্যাপ্রন পরে রোগীকে চিকিৎসা করতে হবে।

খাবারের ক্ষেত্রে— ভালোভাবে রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত। কারণ, কাঁচা মাংস রান্না করতে গিয়ে হাতে লেগে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। কিন্তু, রান্না করার পর অর্থাৎ ৫৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের অধিক তাপমাত্রায় বেশীরভাগ ভাইরাস আর বেঁচে থাকে না।

আশার কথা হল, করোনা সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে এই শীতকালটা একটু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিয়ে চলতে হবে। গরম পড়ে গেলে এর লেশমাত্র থাকবে না। করোনা ভাইরাসের আক্রমণ বেশীরভাগই ঠান্ডার দেশে দেখা যায়। এই একই কারণে আমাদের দেশে ইনফ্লুয়েঞ্জায় প্রাণহানি কম হয়। অতএব শীত পেরলেই দেশবাসী নিরাপদ।

সন্দেহ করা হচ্ছে, চীনের মাছ, মাংসের বাজার থেকে ছড়িয়েছে এই করোনা। তবে, করোনাকে কেন্দ্র করে চীনের বিরুদ্ধে যে বায়োলজিক্যাল অস্ত্র তৈরীর অভিযোগ, তাকেও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কারণ, ওরা অনেক সময় নাম গোপন করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায় তো। যাঁরা কাজটা করছেন, তাঁদের কাছেও বিষয় বা উদ্দেশ্য খোলসা করে না। শুধু নির্দেশ দেওয়া হয়, এই ভাইরাসটা মাল্টিপ্লাই করে দাও! তখন অসাবধানতাবশত ওই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তেই পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Corona Virus, #Climate Change, #Health

আরো দেখুন